সত্যজিৎ খুনের মামলায় চার্জশিট মুকুলকে, মমতার ষড়যন্ত্র তোপ কৈলাসের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এবার খুনের মামলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করলো সিআইডি। রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয় বর্গীয় টুইট করে বলেন, এটা মমতার ষড়যন্ত্র। মুকুল রায়ের প্রতিক্রিয়া ‘হাস্যকর অভিযোগ। ‘নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিআইডি। শনিবার রানাঘাট আদালতে পেশ করা চার্জশিটে মুকুলের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে তদন্তকারী সংস্থা।
এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইটে তোপ থাকেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তিনি লেখেন, ‘মমতা ব্যানার্জির ষড়যন্ত্র অব্যাহত ! মুকুল রায়ের উপর খুনের মিথ্যা অভিযোগে চার্জশিট দেওয়ায় এটাই প্রমাণিত হয় মুখ্যমন্ত্রী প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। প্রতিপক্ষকে হেনস্থা করার ষড়যন্ত্র উনি অব্যাহত রেখেছেন, যেখানে মমতা সরকার আর কিছু দিনের অতিথি মাত্র। তারপর কি হবে মমতা ব্যানার্জি ভাবুন আপনি।’
এদিন বিজেপির জন সম্পর্ক অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। উত্তর কলকাতার কেশব সেন স্ট্রিটৈ বাড়ি বাড়ি গিয়ে জন সম্পর্ক করেন। তাঁর বিরুদ্ধে করা চার্জশিট সম্পর্কে মুকুল বলেন, ‘হতেই পারে, কেন নয়? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে? চার্জশিটে নাম দিচ্ছে কে? দফতরের মন্ত্রীকে? জিজ্ঞাসা করুন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর নাম কি? তিনি জানেন না এই ঘটনায় কারা যুক্ত? তাঁরই নির্দেশে, তাঁরই অঙ্গুলিহেলনে যদি আমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়, তবে এটা একটা বড় হাস্যকর ব্যাপার।’প্রসঙ্গত, রাজ্যের পুলিশ ততা স্বরাষ্ট্র দফতরের ভার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। তিনি আরও বলেন, ‘ আমার বিরুদ্ধে ৪৪টা মামলা রয়েছে। আমি ভীত নই। ‘
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর আগের রাতে নদিয়ার হাঁসখালিতে নিজের বাড়ির কাছেই গুলিতে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ। ওই মামলায় সিআইডি ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল। গত বছর ১৪ জুন ৩জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়, প্রমাণাভাবে নিষ্কৃতি পান ২জন। এফআইআর-এ রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং মুকুল রায়ের নাম ‘সন্দেহ ভাজন’ হিসেবে থাকলেও প্রথম চার্জশিটে তা ছিল না।এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর রানাঘাট আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে জগন্নাথ সরকারকে অভিযুক্ত করে সিআইডি। তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়। চার্জশিটে জানানো হয়েছিল, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এদিন চার্জশিটে মুকুল রায়ের নামও যুক্ত হল। শেষ পর্যন্ত এই মামলার গতি প্রকৃতি কোন দিকে বাঁক নেয় সে দিকেই নজর থাকবে।