পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্য হলেন ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্য করা হল ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতোকে। রাজ্য সরকারের এই দায়িত্ব পাওয়ার পরেই তিনি কাজ শুরু করতে চান। শিশুরা যাতে বিদ্যালয়মুখী হয় তার জন্য কাজ করতে চান নিয়তি মাহাতো। সোমবার তিনি কলকাতার উল্টোডাঙার অফিসে গিয়ে দায়িত্ব বুঝে নেন।
বুধবার থেকেই সাঁকারইল ব্লকের রোহিনী গ্রামে গিয়ে প্রথম কাজ শুরু করতে চলেছেন নিয়তি। লালগড় আন্দোলন তথা জনসাধারনের কমিটির প্রাক্তন নেতা ছত্রধর মাহাতো এক সময় জঙ্গলমহলে মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন।দীর্ঘ প্রায় দশ বছর তিনি জেল বন্দী ছিলেন। বেশ কয়েক মাস আগেই তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।এর পরেই তিনি শাসক দলের হয়ে কর্মসুচিতে অংশগ্রহন করেছেন। বর্তমানে ছত্রধর মাহতো রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সম্পাদক।
গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পাওয়ার পরেই তিনি লাগতর দলীয় কর্মসুচি চালিয়ে গিয়েছেন।এবার তার স্ত্রী নিয়তী মাহাতোকে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। রাজ্য সমাজ কল্যাণ পর্যদের সদস্য নিয়তি দেবীকে এবার আরো গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্য করা হয়েছে। তাঁকে ঝাড়গ্রাম জেলায় কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাল্যবিবাহ, শিশু নির্যাতন, গ্রামীন এলাকার ছেলে মেয়েদের লেখাপাড়া সহ এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিন নিয়তি দেবী লালগড়ের আমলিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে জানান, তিনি বুধবার থেকেই জেলার সাঁকারাইল ব্লক থেকে নিজের কাজ শুরু করতে চান। আর এ ক্ষেত্রে তিনি আশা দিদি, আঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, বিভিন্ন ক্লাব গুলিকে সঙ্গে নিয়ে এবং তাদের সাহায্য নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে চান। পৌঁছে যেতে চান গ্রামে গ্রামে। প্রত্যন্ত গ্রামের পরিবার গুলির মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের মেয়েদের, শিশুদের কি সমস্যা রয়েছে জানতে চান। অভিভাবকদের বোঝাতে চান কম বয়সে বিয়ে না দিয়ে মেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া উচিত। রাজ্য সরকারে কন্যাশ্রী প্রকল্প, রূপশ্রী প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে তার সুফল বলতে চান। সামগ্রীকভাবে শিশু এবং মেয়েদের উপর নিরন্তর কাজ করতে চান তিনি।
নিয়তি মাহাতো বলেন “ রাজ্য সরকার আমাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি দায়িত্ব দিয়েছে। আমি চাই সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে।আমাকে ঝাড়গ্রাম জেলায় কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে কাজ শুরু করতে চাই।সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনী গ্রামে বুধবারই যাচ্ছি।আশা দিদি,ওঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, ক্লাব গুলিকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব।”