মল্লারপুরে নাবালক মৃত্যুর ঘটনায় বৈঠক করলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী

জেলা প্রতিনিধি, বোলপুর: মল্লারপুরের পুলিশ হেফাজতে কিশোরের মৃতুর ঘটনায় বোলপুরের সার্কিট হাউসে বৈঠকে বসেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী, জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা, পুলিশ সুপার শ্যাম সিং সহ অন্যান্যরা। বৈঠকের পর কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, মায়ের শরীর খারাপ, তাই জেলাশাসকে বলা হয়েছে তার যেন নিয়মিত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সরকারের বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে তাদের পরিবারকে সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট এসেছে তাতে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। যে ডাক্তার ময়নাতদন্ত করেছিলেন তিনি এসে ছিলেন তার সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু কেন আত্মহত্যা করেছে সেটা দেখতে হবে, কারণ ১৪-১৫ বছরের ছেলে তাদের আত্মসম্মানটা সব সময় বেশি থাকে। তাই এই ক্ষেত্রে কিছু একটা হয়ে ছিল। তাই একটা পূর্নাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
রবিবার কলকাতা থেকে একটি ফরেন্সিক দল এসেছে। ছেলেটি যেখানে আত্মহত্যা করে ছিল বলা হচ্ছে সেই জায়গা থাকে নমুনা সংগ্রহ করবে। পুলিশের কথা অনুসারে, করনো সচেতনার জন্য প্রতিদিন পুলিশ মাইকে প্রচার চালাচ্ছে। থানায় রাখা সেই মাইকের সঙ্গে যে তার ছিল সেই তার নিয়ে ছেলেটি বাথরুমে যায় এবং সেখানে গলায় দড়ি দেয়। ছেলেটির শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। মল্লারপুর থানা সিসিটিভি কাজ করে না, এই বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে বলা হয়ে দ্রুত তা ঠিক করতে। সিসিটিভি থাকলে কখন ছেলেটিকে আনা হয়েছে বা ছেলেটি কি করছে তার প্রমাণ থাকত। শিশু সুরক্ষা বিষটি নিয়ে অনেকের পরিস্কার কোনও ধারনা নেই। জেলায় নতুন থানাগুলিতে চাইল্ড ফ্রেন্ডলি রুম থাকলেও পুরনো থানাগুলিতে তা নেই।
জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, পুলিশ হেপাজতে থাকার সময় মৃত্যু হলে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ সেটা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত হচ্ছে। তিন জন সিনিয়র ডাক্তার ময়নাতদন্ত করেছেন। পরিবারের উপস্থিতে ময়নাতদন্ত হয়েছে, পুরো বিষটির ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে।