
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্কঃ নেপালের অস্বাভাবিক আচরনের পেছনে কি লুকিয়ে রয়েছে কোনও অন্য সত্য? এবার কি তবে দিনের আলো দেখবে সেই আসল রহস্য? কান পাতলেই এই প্রশ্ন দাঁনা বাধছে কাঠ মান্ডুর রাজপথে। চিনা রাষ্ট্রদূত হুয়াঙ্কির দ্বারা ‘হানি ট্র্যাপ’এ ফেঁসেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এবং সেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজও রয়েছে কাঠমান্ডুর চিনা দূতাবাসে। সেই ফুটেজ দিয়েই নেপালকে ব্ল্যাকমেইল করাচ্ছে বেজিং।পাশাপাশি ৩৩হেক্টর নেপালি জমিতে চিনা অধিগ্রহণ তার সঙ্গে সম্পর্কিত। সম্প্রতি নিজের ট্যুইটারে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন ভারতীয় সেনার প্রাক্তণ মেজর গৌরব আরযের। তিনি আরও বলেন, ইয়াঙ্কিকে কিছুদিন আগে নেপালি পোশাক লেহেঙ্গা-চোলি তে নারীদিবসের একটি প্রোগ্রামে নেপালি গানের সঙ্গে নাচতে দেখা গিয়েছিল।
চিনা রাষ্ট্রদূত হুয়াঙ্কি
তিনি এভাবেই নেপালি মানুষের মন জয়ের কৌশল নিয়েছেন। দাবি প্রাক্তণ +মেজরের।
Word on the streets of Kathmandu is that Nepal PM KP Sharma Oli has a glad eye & has been honey trapped by Chinese embassy in Kathmandu.
That’s why when China gobbles up Nepali villages, Oli says nothing. Sources say that the Chinese embassy has videos. Oli is controlled by 👇 pic.twitter.com/5n0iNYbC7W
— Major Gaurav Arya (Retd) (@majorgauravarya) June 30, 2020
এছাড়া তিনি আরও বলেন, যে বিগত কয়েকদিন থেকেই নেপালি প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও বাসভবনে ইয়াঙ্কির যাতায়াত বেড়ে গিয়েছিল। সেই রকমই কোনও পরিস্থিতিতে ওই মহিলা চিনা রাষ্ট্রদূত ওলিকে নিজের ফাদে ফেলেছেন বলে দাবি মেজরের।
যদিও তার এই ট্যুইটকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ট্ুইটের পাল্টা রিট্যুইট করে মেজরের মন্তব্যের বিরোধতা করেছেন নেটিজেনরা। যারমধ্যে রয়েছেন ভারতীয় সেনার কয়েকজন প্রাক্তণ কর্তাও। এবং নারীর সম্মাণ খর্ব করা হচ্ছে এই নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট রিয়া ডিসুজাও।
Sanghi will always remain a qomen abuser. What a shame u are gaurav.. https://t.co/f8NG2uGBFP
— RiA D’Souza (@RiaRevealed) June 30, 2020
তবে উল্লেখ্য, নেপালের এই অস্বাভাবিক আচরনের পেছনে নিশ্চয় কোনও ‘গন্ডগোল’ রয়েছে, কিছুদিন আগে এমন কথাই জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান এম.এম.নারাভানে। তবে গন্ডগোল কি তা সময়ই বলবে।
অন্যদিকে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে ইতিমধ্যেই দল ও সরকারের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে ওলিকে। প্রতিবেশির সঙ্গে সম্পর্ক ইস্যুতে পার্টি প্রধান পুস্পকুমার দাহালও বেজায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রীর ওপর।প্রধানমন্ত্রীত্বের পদ থেকে কেপি শর্মার পদত্যাগ নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে আশঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসায় কী হবে প্রধানমন্ত্রী ওলির ভবিষত তা সময়ই বলবে।