উত্তেজনা… ডোকলাম থেকে ৭ কিমি দূরে চিনা বাঙ্কার! উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল ছবি

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ফের উত্তেজনা বাড়ছে ডোকলামে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ডোকলাম মালভূমি অঞ্চলে ভারত ও চিনের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আবহ। ডোকলাম থেকে ৭ কিমি দূরে চিনা বাঙ্কার, এই ঘটনাই সংঘাতের বার্তাকে আরও জোরালো করে তুলছে। সামরিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, এলাকায় সামরিক প্রস্তুতি বাড়াতেই ডোকলামের সংঘাতস্থল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে বাঙ্কার গড়েছে চিন। নয়াদিল্লি জানিয়েছে ডোকলামে অস্ত্রশস্ত্রে ভরা চিনা বাঙ্কারের উপগ্রহ চিত্রে উপস্থিতির ছবি মিলছে।
ডোকলাম মালভূমির পূর্বে শিনচে লা পাস থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র মজুতের বাঙ্কারও নাকি তৈরি করে ফেলেছে চিন।
উপগ্রহ চিত্র মারফত জানা গিয়েছে ডোকলামের পূর্ব প্রান্তে মাত্র ২.৫ কিলোমিটার দূরে সিনচে লা পাসে চিনা বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে। যার খুব কাছে ভুটান ও চিনের সীমান্ত। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গোটা বিষয়ের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ভুটান সীমান্তের খুব কাছে নতুন রাস্তা তৈরি করছে চিন, যার মাধ্যমে ডোকলামের কাছে পৌঁছে যেতে পারবে চিনা সেনা।
২০১৭ সালে ডোকলামে ডোমপেরলি ধরেই চিনা সেনার অনুপ্রবেশ ঘটেছিল। ডোকলাম বিবাদ বা ২০১৭ সালের চিন-ভারত সীমান্ত বিরোধিতা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির মধ্যকর সীমান্ত বিরোধ. এই বিরোধ ঘটে চিনের সেনাবাহিনী যখন ডোকলামে সড়ক নির্মাণ শুরু করে। চিনে ডোকলাম এলাকা ডিক্ল্যাং, বা ডনল্যাং কাওচং (ডনল্যাং চারণভূমি বা চারণভূমির ক্ষেত্র) নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: করোনার থাবায় জর্জরিত অল রেডস, তবুও লেস্টারকে হারিয়ে নয়া ইতিহাস ক্লপদের
১৬ জুন ২০১৭ সালে চিনের সৈন্যরা নির্মাণাধীন যানবাহন ও রাস্তাঘাট নির্মাণের সরঞ্জাম দিয়ে দখল করে একটি বিদ্যমান সড়কে দক্ষিণমুখী ভাবে ডোকলাম এলাকাতে নির্মাণ শুরু করে। পাশাপাশি এই অঞ্চলটি নিজের বলে দাবি করে। কিন্তু ভুটান এবং ভারতের পক্ষ তা অস্বীকার করা হয়। ভারতের অত্যন্ত কৌশলগত শিলিগুড়ি করিডোর দিকে সড়কটি প্রসারিত ছিল। এই ঘটনায় ভুটানের সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা সৃষ্টির কারণে সীমান্ত নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছিল।
একই দিনে, চিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিনের অংশ হিসাবে ডোকলামকে একটি মানচিত্র প্রকাশ করে।