লকডাউনের ৫০ দিন, চালু হল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা
শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল: লকডাউনের ঠিক ৫০ দিনের মাথায় চালু হল দেশের অন্যতম চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। রেলবোর্ডের সিদ্ধান্তে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসকের নির্দেশ মেনে শর্ত সাপেক্ষে এদিন এই কারখানা চালু হয়।
সোশ্যাল ডিস্টেন্স বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও সব স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাজে যোগ দিলেন কর্মীরা । ১১ হাজার কর্মীর পরিবর্তে এদিন মাত্র ১২০০ জনকে নিয়ে এদিন কারখানা চালু করা হয়। কারখানায় এদিন কাজে যোগ দেওয়া কর্মীদের মুখে পড়া ছিল মাস্ক। হাতে দেওয়া হয় স্যানিটাইজার। শুধুমাত্র রেল শহর চিত্তরঞ্জনের আবাসনে থাকা কর্মীরাই এদিন কারখানার কাজে যোগ দেন। স্বাভাবিকভাবেই এতোদিন পরে কারখানা চালু হওয়ায় খুশির আমেজ ছিলো কর্মীদের মধ্যে।
অতীতে এতদিন ধরে টানা এই কারখানা বন্ধ থাকার কোনও নজির নেই। এমনকি শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটেও এক ঘন্টার জন্যও কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়নি। এমনকি ১৯৭৪ সালে সারা দেশ জুড়ে রেল ধর্মঘটের সময়ও যা হয়নি , করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় তা হলো । জানা যায়, সেই সময় হাতে গোনা কর্মী দিয়েও চালানো হয়েছিল কারখানা। লক ডাউনের জেরে তাও হলো না ।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রেল বোর্ডের ডিরেক্টর একে চন্দ্র বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছিলেন, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা সহ দেশে রেলের যতো কারখানা আছে, করোনা সতর্কতায় লক ডাউনে তা বন্ধ করা হল। সেই বিঞ্জপ্তির পরে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার প্রিন্সিপ্যাল চিফ পার্সোনাল অফিসার এসডি পাতিদার, অন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিলেন, কারখানার জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে।
কারখানার সবকটি শ্রমিক সংগঠন, রেলবোর্ডের এই সিদ্ধান্তে খুশি। সংগঠনের নেতারা বলেন, কারখানায় লকডাউন হয়েছিলো মার্চের শেষে । কিন্তু তার অনেক আগেই এই কারখানা টার্গেট মতোউৎপাদন করে ফেলেছিল। কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক মান্তার সিং বলেন, লিমকা বুক অফ রেকর্ডস এক বছরে ৪০২টি ইঞ্জিন উৎপাদন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরেও ইঞ্জিন উৎপাদনে রেকর্ড করবে এই কারখানা।