
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: রাতের কলকাতায় মদ্যপদের হাতে খুন হতে হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। ইঁট মেরে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে মাথা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকিদের খোঁজ করছে পুলিশ। ঘটনাট ঘটেছে ময়দান থানা এলাকায় বিস্যাসাগর সেতুর নীচে হেস্টিংস মাজারের কাছে। জানা গেছে, ওই সিভিক ভিলেন্টিয়ার ময়দান থানায় কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সানি বয়স ৩০। বাড়ি খিদিরপুরে। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করার পাশাপাশি তিনি ঘোড়ার ব্যবসাও করতেন। শুক্রবার সানির থানায় ডিউটি ছিল না। ঘোড়াকে খাবার দিতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে এদিন বেরিয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও বাড়ি না ফেরেননি সানি। এরপর বাড়ির লোকেরা খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। খোঁজ নিতেই ময়দান থানা এলাকাতেই মাজারের পাশের ঝোপের মধ্যে থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি কমবে উত্তরে, তবে কি এবার ভাসবে দক্ষিণ? কী বলছেন আবওহাওয়াবিদরা
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার নাকি হেস্টিংস মাজারের কাছে কয়েকজন বসে মদ্যপান করছিল। তাদের মধ্যে হঠাত্ করেই বচসা শুরু হয়। কর্তব্যরত না হলেও সেই বচসা নাকি থামাতে যান সানি। সেই সময় ওই মদ্যপ যুবকরা তাঁকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায় নাকি ইঁট দিয়ে আঘাত করা হয়। এছাড়া বিদ্যাসাগর সেতুর লোহার পাটাতনেও ঠুকে দেওয়া হয় তাঁর মাথা। জানা গিয়েছে, রক্তাক্ত অবস্থায় সানি লুটিয়ে পড়লে ওই যুবকরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় কয়েকজনকে সানিকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা জানান, মাথার আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে সানির। এই ঘটনার পরেই তদন্ত শুরু করে ময়দান থানার পুলিশ। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় হেস্টিংস মাজারের পাশে নাকি প্রায়ই মদের আসর বসায় কয়েকজন যুবক। তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।