সিভিক ভলান্টিয়ারদের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন যুবক

অভিষেক চৌধুরী,কালনা: সিভিক ভলান্টিয়ারদের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল এক যুবক।রাতের অন্ধকারে নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে আত্মহত্যায় উদ্যত ওই যুবককে হাতেনাতে ধরেন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা।শনিবার রাতে পুটশুড়ি গ্রামের এই ঘটনার পর ওই যুবককে তুলে এনে তার পরিবারের হাতে তাকে তুলে দেয় তারা।মন্তেশ্বর থানা পুলিশের এহেন সাহসী পদক্ষেপ ও প্রশংসনীয় কর্মকান্ডে খুশি ওই এলাকার মানুষজন।
স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায় যে,আত্মহত্যা করতে যাওয়া বত্রিশ বছর বয়সী ওই যুবকের বাড়ি মন্তেশ্বর থানার পুটশুড়ি গ্রামে।পেশায় সে গাড়ির চালক।বেশ কয়েমাস ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তার অশান্তি লেগেই থাকে।শনিবার তা চরমে পৌঁছায়।এরপরেই ওইদিন সন্ধ্যায় সে বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যায়।বাড়িতে ফোনে জানিয়ে দেয় সে আর বেঁচে থাকতে চায়না। বিষয়টি কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার নূরুল হাসান সেখের কানে আসে।এরপরেই সে আরও দুই সিভিক মানস ভট্টাচার্য ও অরুণ দত্তকে নিয়ে তন্নতন্ন করে তার খোঁজ শুরু করে।ওই যুবককে না পেয়ে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে মন্তেশ্বর থানার ওসি সৈকত মন্ডলকে বিষয়টি জানায় নুরুল।
এরপর ওসি ওই যুবকের মোবাইল ফোনের লোকেশন বের করেন।এরপরেই জানা যায় বাড়ি থেকে অদূরেই কোনো এক জায়গায় ওই যুবক অবস্থান করছে।এরপরেই ওই তিন সিভিক ভলান্টিয়ার রাতের অন্ধকারে হন্যে হয়ে খুঁজে স্থানীয় এক জঙ্গলের ভিতরের একটি গাছতলা থেকে ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে।ওখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় ও সুস্থ করে তুলে পরিবারের হাতে যুবককে তুলে দেয়।
এই বিষয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার নূরুল হাসান সেখ বলেন “শনিবার রাত দশটা নাগাদ পুটশুড়ি এলাকায় পাঁচ ছয়টি মোটরসাইকেল নিয়ে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখি।সন্দেহ হওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসা করতেই যুবকটির মামা জানায় যে তার ওই ভাগ্না স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে।শুধু তাই নয় আত্মহত্যা করবে বলেও সে জানিয়ে যায়।এরপরেই ওই যুবককে বাঁচাতে হন্যে হয়ে খুঁজি।না পেয়ে থানায় বড়োবাবুকে ফোন করি।বিষয়টি জানাই।তিনি ওই যুবকের মোবাইল লোকেশন দেখে আমাদের ওর অবস্থানটা বলে দেন” ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস এই বিষয়ে বলেন,”মন্তেশ্বর থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে ভীষন ভালো একটি কাজ করেছে।এই ধরনের কাজ আগামী দিনেও যাতে তারা করতে পারে সেই বিষয়ে তাদের আরও উৎসাহ দেওয়া হবে”।