পার্টি অফিসের দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ঘ ও বোমাবাজি ঘিরে উত্তপ্ত বর্ধমান

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান: পার্টি অফিসের দখলদারি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শহর বর্ধমানের রসিকপুর এলাকা। মুড়ি মুরকির মত বোমা পড়তে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েক জনকে পুলিশ আটক করেছে ।জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে ।
রসিকপুর এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে ,তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আব্দুল রবের সঙ্গে এলাকার আপর তৃণমূল নেতা মহম্মদ আসরাফ উদ্দিন বাবুর বিবাদ দীর্ঘদিনের। হামেশাই দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা অশান্তি লেগে থাকে ।রসিকপুর এলাকায় থাকা দলের একটি পার্টি অফিসের দখল নিয়ে বর্তমান সময়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ চরমে উঠেছে । ওই পার্টি অফিসটি এতদিন তৃণমূল নেতা আব্দুল রবের দখলে ছিল । সম্প্রতি মহম্মদ আসরাফ উদ্দিন বাবু জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির দায়িত্ব পান । তারপর থেকেই আব্দুল রবের শিবিরে ভাঙন ধরে। শিবির বদলে অনেকেই বাবুর গোষ্ঠীতে চলে যায়। এরপর থেকেই তালা পড়ে যায় ওই পার্টি অফিসে । এদিন আসরাফ উদ্দিন বাবুর গোষ্ঠীর লোকজন ওই পার্টি অফিসের দখল নিতে গেলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেযায়। দু’পক্ষের লোকজনই রড লাঠি, তলোয়ার নিয়ে সন্মুখ সমরে নেমেপড়ে। শুরু হয়েযায় মুড়ি মুরকির মত বোমাবাজি ।
আরও পড়ুন: করোনার থাবায় আর্থিক মন্দায় ফিকে হয়েছে লক্ষী পুজোর জৌলুশ – ক্ষোভে ফুঁষছেন ভক্তরা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকেও হিমসিম খেতে হয় । তৃণমূল নেতা আব্দুল রব এদিন অভিযোগ বলেন, মহম্মদ আসরাফ উদ্দিন বাবু জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যা লঘু সলের সভাপতি হওয়ার পর থেকে সে এলাকায় দাপট দাখাতে শুরু করেছে ।হুমকি শাসানি দিয়ে এলাকা দখলে নমেপড়েছে তার অনুগামীরা। তারাই এদিন জোর জবরদস্তি ওই পার্টি অফিসের দখল নিতে যায় । যদিও মহম্মদ আসরাফ উদ্দিন বাবু বলেন পার্টি অফিস খোলা নিয়ে সামান্য একটু গণ্ডগোল হয়েছিল। তবে তা মিটে গেছে। যদিও বোমাবাজির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি নেতা দেবাশীষ সরকার । তিনি বলেন,“বোমাবাজি তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। সেটাই এদিন চাক্ষুষ করেছে শহর বর্ধমান বাসিন্দারা । একই সঙ্গে প্রমান হল শহর বর্ধমানেও তৃণমূলের বোমা মজুত ভান্ডার ভালই রয়েছে ।”