fbpx
কলকাতাহেডলাইন

সিপিএম আমল থেকেই সিইএসসি, সরকারকে দোষ দেবেন না, বিদ্যুৎ নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

পাল্টা জবাব সিপিএমের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : কলকাতা জুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মধ্যেই সিইএসসি নিয়ে তৃণমূল-সিপিএম তরজা।

 

 

ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী ৭২ ঘণ্টাতেও বিদ্যুৎ সংযোগ না আমায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা সিইএসসি ও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। এই ক্ষোভের দায় ঝেড়ে ফেলতে সিপিএমের ঘারে দোষ চাপিয়ে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিপিএম আমল থেকেই সিইএসসি। সরকারকে দোষ দেবেন না।’ এর পরেই সিপিএমের তরফে পাল্টা তোপ দাগা হয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, সিইএসসি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। আর সিইএসসির বর্তমান মালিক মুখ্যমন্ত্রীর ঘণিষ্ট। উনি সেটা আড়াল করতেই এখন সিপিএমের ঘারে দোষ চাপাচ্ছেন।

 

আমফান বিপর্যয়ের কারণে কলকাতার বহু এলাকাতেই শনিবার পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ হযনি। অনেক জায়গায় মিলছে না পানীয় জলও। রাস্তায় জমে আছে জল। এই পরিস্থিতিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ। শনিবার উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতার কসবা, রাজডাঙা, গড়ফা, যাদবপুরের একাংশ, গড়িয়া, বেহালা, খিদিরপুর-সহ একাধিক এলাকা। পথে নামেন সাধারণ মানুষ। ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হতে গেলেও বিদ্যুত সংযোগ না হওয়ায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলিও। শনিবার তার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিইএসসি একটি বেসরকারি সংস্থা। সিপিএম আমল থেকেই কাজ করছে। এর জন্য সরকারকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। সিপিএমের আমলে কেন্দ্রীয় সরকার ওই বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে। বর্তমান সরকার এই দায়িত্ব দেয়নি।’

 

 

একই সঙ্গে করোনার কারণে সিইএসসির কর্মীর অভাব রয়েছে বলে দাবি করে মানুষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে সিইএসসির বহু কর্মী বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। কর্মীর অভাবে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। বাস্তব সমস্যাটাও মানুষকে বুঝতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে। যারা উস্কানি দিচ্ছে তাদেরও সেটা বন্ধ করতে হবে।’  তবে এদিন ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে এই সংস্থার একাধিপত্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রতিযোগিতা থাকা উচিত বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমিও চাই প্রতিযোগিতা থাকুক। আমাদের আমলে সিএসসি দায়িত্ব পায়নি। সিপিএমের আমলে কেন্দ্রীয় সরকার ওই বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে।’

 

 

এর পরিপ্রেক্ষিতে এক বার্তায় পালটা জবাব দিয়ে সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘দায়িত্বহীনতা আর কুযুক্তির বেড়াজালে না জড়িয়ে অসহায় মানুষের জন্য জরুরী  পরিষেবা দ্রুত পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে কিন্তু! আর তাছাড় ১৮৯৭ সালে তৈরী হয়েছিল বলে আজ কাটমানি খেয়ে বিদ্যুৎ মাশুল সর্বোচ্চ রাখতে তো মাননীয়ার অসুবিধা হয় না।’

 

 

 

 

 

সিইএসসির বর্তমান মালিকের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরে পালটা কটাক্ষ করে সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নাকি বলেছেন সিইএসসি বাম আমলে তৈরী ও বেসরকারি সংস্থা। আমি নিজের কানে শুনিনি।সুতরাং সাদামাটা তথ্য হিসাবে জানিয়ে রাখি, সিইএসসি ইংরেজ আমলে তৈরী। আজ থেকে কমবেশি ১৩৫ বছর আগে। এখন যিনি মালিক তিনি শাসকের ঘরের লোক। টিটাগড় বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছেন শাসকের সংগে জোট বেঁধে। শুনছি ওখানে রিয়েল এস্টেট  হবে। উনি আবার মুখ্যমন্ত্রী র সংগে বিদেশ যান শিল্পপতি ধরতে। মুখ্যমন্ত্রী বলুন আর না বলুন তথ্যটি সত্য।’

Related Articles

Back to top button
Close