উপত্যকার অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, বৈঠক সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: একের পর এক রক্তক্ষয়ী ঘটনায় অশান্ত কাশ্মীর। পর পর খুনের ঘটনা ঘটছে। শুক্রবারও জঙ্গিদের গুলি প্রাণ কেড়েছে এক ১৭ বছরের কিশোরে। সে বুদগামের একটি ইটভাটায় কর্মরত ছিল। গুলিতে আহত হয়েছে অপর এক পরিযায়ী শ্রমিক। তার আগের দিন ব্যাঙ্কের মধ্যে ঢুকে আততায়ীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে দেহাতি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে।
ইতিমধ্যেই পূনর্বাসন প্রকল্পে কাশ্মীরে প্রায় চার হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত কর্মরত। ক্রমশই তাদের ক্ষোভ বাড়ছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। প্রাণের ভয়ে তারা সেখান থেকে চলে আসতে চাইছে।
এবার কাশ্মীর উপত্যকা থেকে হিন্দু পণ্ডিতদের আসা ঠেকাতে তৎপর হয়েছে মোদী সরকার। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন তথা নিরাপত্তাবাহিনীর প্রতি কেন্দ্রের কড়া বার্তা- প্রয়োজনে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত হিন্দুদের জেলা সদরে বদলি করে নিয়ে আসা যেতে পারে। কিন্তু কোনও পরিবার যেন উপত্যকা ত্যাগ না করে।
অভিযোগ উঠেছে, পণ্ডিতেরা যেন এলাকা ছাড়তে না পারে, সেজন্য গত কালও পুনর্বাসন শিবিরগুলোর সামনে রাস্তা আটকে দিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।
এদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জঙ্গি দমন অভিযান আরও তীব্র করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই উপত্যকায় বেছে বেছে পণ্ডিত ও হিন্দুদের হত্যার কৌশল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা নিয়েছে বলে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে উপত্যকায় বসবাসকারী হিন্দুদের মধ্যে।
কাশ্মীরে বসবাসকারী হিন্দুদের একাংশ নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় পালিয়ে গেছেন বা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। পণ্ডিতদের দলবদ্ধভাবে এলাকা ত্যাগ রাজনৈতিকভাবে বিপাকে ফেলেছে বিজেপি সরকারকে।
কাশ্মীরের হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে মোদী সরকার ব্যর্থ সরব বিরোধীরাও। হিন্দুদের নিরাপত্তা না দিতে পারায় অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফাও দাবি করেছেন তিনি।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৌশল ঠিক করতে গতকাল বৈঠকে বসেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত, সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে, র’ প্রধান সামন্ত গোয়েল, গোয়েন্দা প্রধান অরবিন্দ কুমার।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফ এবং বিএসএফ প্রধান। বৈঠকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন অমিত শাহ। প্রায় ৬ ঘন্টা ধরে বৈঠক চলে।