মোদী সরকারের পতন ঘটাতে চেয়ে চক্রান্ত করেছিল কংগ্রেস!

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: গুজরাটে তৎকালীন মোদী সরকারকে পতন ঘটাতে চক্রান্ত করেছিল কংগ্রেস। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার পর প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল রাজ্যটির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছে গুজরাট রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্ত দল।
পুলিশের বিশেষ তদন্ত দল বলছে, প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল মোদীর বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য অধিকারকর্মী তিস্তা শেতলাবাদকে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস ও অভিযুক্তদের পরিবার।
উল্লেখ্য, আহমেদ প্যাটেল দুই বছর আগে মারা গিয়েছেন। আদালতে পুলিশ বলেছে, আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশে গুজরাটে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বিজেপি সরকারের পতন ঘটাতে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের’ অংশ ছিলেন তিস্তা। নির্দোষ মানুষকে দাঙ্গার মামলায় জড়াতে তিনি বিরোধী দলের কাছ থেকে আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়েছিলেন।
একজন সাক্ষীর কথিত জবানবন্দির বয়ানে পুলিশের অভিযোগ, আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশে ওই ষড়যন্ত্র করা হয়। দাঙ্গার পর তিনি তিস্তাকে ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। সেই সময় ক্ষমতায় থাকা বিশিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করতেন তিস্তা। রাজ্যসভা আসনের লোভে বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গুজরাট দাঙ্গার মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেন তিনি।
এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কংগ্রেস বলছে, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে প্রয়াত বিরোধী নেতারাও রক্ষা পাচ্ছেন না।
নাম জড়িয়েছে সোনিয়া গান্ধীরও। বিজেপির অভিযোগ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশেই নাকি ২০০২ সালে গুজরাতে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ফেলার চেষ্টা করেছিল গুজরাত কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীকে গুজরাটে বিপাকে ফেলতে চক্রান্ত করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তাঁর নির্দেশেই আহমেদ প্যাটেল নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রচনা করেছিলেন। গুজরাত হিংসা মামলায় সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এরপরেই গুজরাত হিংসার ঘটনায় ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সমাজকর্মী তিস্তা শেতলাবাদকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। যদিও তিস্তার গ্রেফতারি নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে মোদী সরকারকে।