
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকদিন ধরেই সভাপতি নিয়ে টানাপোড়েন চলছে কংগ্রেসের মধ্যে। দলের মধ্যেই অনেকে চাইছেন গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে কেউ সভাপতি হোক। অন্তরবর্তিকালীন সভানেত্রী হিসাবে প্রায় একবছর থেকে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনিও সেই দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন। সোমবার দিনভর দীর্ঘ নাটকের পর শেষ হয় কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এবং বৈঠক শেষে সেই গান্ধী পরিবারের হাতেই থেকে যায় কংগ্রেসের চাবিকাঠি। অন্তরবর্তিকালীন সভানেত্রী হিসাবে ঘোষণা হয় সোনিয়া গান্ধীর নাম। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে এই অসন্তোষের আগুন এখনও জ্বলছে ধিকধিক করে।
অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর পদে থাকতে চান না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, সোমবারের বৈঠকের শুরুতেই তাঁর পরিবর্ত খুঁজতে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের বলেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু তাঁরই এই পদে থাকা উচিত বলে পরামর্শ দেন মনমোহন সিং। পদ না ছাড়ার জন্য আবেদন করেন এ কে অ্যান্টনিও। তবে শেষ পর্যন্ত পদে বহাল থাকেন সোনিয়া। যদিও রাহুল দাবি জানান, এআইসিসি-র বৈঠক ডাকা হোক ছয় মাসের মধ্যেই। এবং সূত্রের খবর, জানুয়ারিতেই সেই সভা বসবে এবং নির্বাচিত হবেন নয়া সভাপতি।
সভাপতির পদ থেকে এক বছর আগে সরে দাঁড়ালেও কংগ্রেস চালাচ্ছেন সেই রাহুল গান্ধী। রাজস্থানের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি স্পষ্ট। কংগ্রেসের সংগঠনে রদবদল করতে কোনও অসুবিধা হয়নি রাহুল গান্ধীর। কারণ কংগ্রেস মানে এখনও সেই গান্ধী পরিবার। অন্তরবর্তিকালীন সভানেত্রী রাহুলের মা হওয়ায় আদতে ক্ষমতা থেকে গিয়েছে গান্ধীদের হাতেই। আর এর জেরেই অসন্তোষ জন্মাতে শুরু করে দলের অন্দরে।
এই পরিস্থিতির ছিল ২৩ জন কংগ্রেস নেতার একটি চিঠি। সোনিয়া গান্ধী দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর কাটতে না কাটতেই আবারও দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দাবি জানায় শীর্ষ নেতৃত্ব। ২৩ জন শীর্ষনেতা এই মর্মে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠিও লিখেছিলেন। পাশাপাশি তাঁরা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের চিঠির উত্তরে সোনিয়া গান্ধী জানিয়েছিলেন, বৈঠক হবে। সকলে মিলে নতুন সভাপতির খোঁজ করা হবে।