
অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: রাজ্যজুড়ে অমিত শাহ উদ্দীপনা। শুক্রবার এর মাঝেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আধির চৌধুরির নেতৃত্বে শহর জুড়ে ট্রাক্টর মিছিল করে জিইয়ে রাখল বিরোধিতা। ছোট থেকে বড়, মাত্র কয়েকদিনেই বাংলার ঘরে ঘরে অত্যন্ত কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন বিজেপির অন্যতম কাণ্ডারি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একুশের নির্বাচনের আগে বাংলার মানুষের এই শাহ প্রীতি নির্ভর যোগ্যতা বাড়াবে বঙ্গ বিজেপির। বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে আমিত শাহের এই গ্রহণযোগ্যতা কিছুটা ব্যাক ফুটে ফেলেছে শাসক থেকে বিরোধী দুই পক্ষকেই। তাই এবার বিজেপিকে চাপে ফেলতে পাল্টা বিরোধিতার রাজনীতিতে শান দিয়েছে সব পক্ষই।
বৃহস্পতিবার দলিত উৎপীড়ন দিবস পালনের পর শুক্রবারও কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা করে শহরের রাজপথে দলীয় নেতাদের নিয়ে ট্রাক্টর মিছিল করলেন সংসদীয় নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কৃষি প্রধান পশ্চিমবঙ্গে মোদি সরকারের কৃষি আইনগুলির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিজেপির প্রচার কৌশলের উপর কার্যত রোলার চালিয়ে দিলেন প্রদেশ সভাপতি। চৌরঙ্গীর রাস্তায় গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণার ইস্যু তুলে ধরে ট্রাক্টর মিছিল করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
এই মিছিলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কংগ্রেস কর্মী , জেলা সভাপতি , বিধায়ক, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শ্রী আব্দুল মান্নান , বিধান সভায় কংগ্রেস দলের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী এবং প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব বিপুল সংখ্যায় এই ট্রাক্টর অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন- নলেন গুড়ের পায়েসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কংগ্রেসের দাবি, এই কেন্দ্রীয় কৃষি আইন লাগু হলে শুধু কৃষকরাই বহুজাতিক কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে তা নয়, বাজারে চাল, ডাল, সবজির দাম আগামী দিনে হবে আকাশছোঁয়া। এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সাধারণ মানুষের অসহায় অবস্থা। বাংলার অর্থনীতির মেরুদন্ড সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গেছে। সাধারণ মানুষ চরম বিপদে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি এদিন রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বেকারদের দুর্বিষহ পরিস্থিতি। বাংলার যুবকদের ভবিষ্যত তৃণমূল সরকার মদ ও লটারির প্রতি আসক্তি বাড়িয়ে নষ্ট করছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ধর্মীয় মেরুকরণের বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও বাম জোট একমাত্র বিকল্প শক্তি হিসাবে মানুষের সামনে থাকবে। যে শক্তি তৃণমূল এর অপশাসন থেকে বাংলাকে মুক্ত করবে।’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সংসদের মধ্যে ও বাইরে কংগ্রেসের এই দেশব্যাপী কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উপর চাপ বাড়াবে।