করোনা প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০’ বিতরণ শুরু করেছে মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উদ্যোগে বর্তমানের ভয়াবহ করোনা রোগের প্রতিরোধ কল্পে সাধারণ মানুষকে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ বিতরণ শুরু হয়েছে সোমবার থেকে । হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের দুটি আউটডোর বিভাগ থেকে এই ওষুধ বিতরণ করা শুরু হয়েছে ।
এছাড়াও হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের দুটি ভ্রাম্যমাণ টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ওষুধ বিতরণের কাজ শুরু করেছে এদিন সকাল থেকেই । করোনা ভাইরাস আটকাতে বা তা থেকে রক্ষা পেতে নিশ্চিত কোনো ওষুধ এখনও আবিষ্কার হয়নি বিশ্বে ৷ সবই পরীক্ষামূলক ৷ এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি মোকাবিলা করতে মানব শরীরকে বেশি রোগ প্রতিরোধী করা উচিত বলেই মনে করছে চিকিত্সকরা ৷ সেই কাজে ঝাঁপ দিল পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে থাকা সরকারি হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সকরা ৷
এই হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি, শরীরকে রোগপ্রতিরোধী করে তুললে এই ভাইরাসকে পরাস্ত করতে সুবিধা হবে ৷ তাই রোগপ্রতিরোধী করতে হোমিওপ্যাথি ওষুধ হিসেবে আর্সেনিকাম এলবাম ৩০ খাওয়ানো যেতে পারে ৷ তাই এই ওষুধ মেদিনীপুর শহরে বিলি করতে পৌর প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সোমবার থেকে মাঠে নামল কলেজের অধ্যাপক তথা অধ্যক্ষ ও অন্যান্য চিকিত্সকেরা ৷
হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড: শ্রীমন্ত সাহা বললেন- এই ওষুধ তিনি দিন নিয়ম করে খেলে রোগ প্রতিরোধী হবে শরীর ৷ তাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা গিয়েছে এই ভাইরাস প্রতিরোধী শরীর ভালো কাজ করেছে ৷ তাই কেন্দ্র সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক ও সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ হোমিওপ্যাথি এই ওষুধ খাওয়ানোর কথা বলেছে ৷ সেই মতো এক সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসুচীতে প্রথমার্ধে গদশ হাজার লোকজনকে আমরা খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ পরে আরও হবে ৷
হোমিওপ্যাথি কলেজের কর্মী ও চিকিৎসকরা রীতিমতো পিপিই পোশাকে মেদিনীপুর শহরের ১২ নং ওয়ার্ডে বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে এই ওষুধ বিলি করেছে ৷ মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দারা অনেকেই চিকিৎসকদের হাত থেকে এই ওষুধ পেয়ে ভরসা করে খাওয়াও শুরু করে দিয়েছেন। কলেজের উদ্যোগে বিনামূল্যে ঔষধগুলি বিতরণ করা ছাড়াও বহু মানুষ হোমিওপ্যাথি ওষুধ দোকানগুলো থেকে কিনতে শুরু করে দিয়েছেন।