করোনা আবহে, কাঁকসায় অবাধে চলছে বালি উত্তোলন, নদীর পাড় ভাঙার আশঙ্কায় এলাকাবাসী
জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: গোটা বিশ্ব করোনার কামড়ে জর্জরিত। সংক্রামক রুখতে চলছে লকডাউন। একজোন থেকে আর একজোনে ঢুকতে কড়া নিয়ম লাগু হয়েছে। তার মাঝে বালিঘাট চালু হওয়ায় কাঁকসার অজয় নদী তীরবর্তী গ্রামে বাড়ছে আতঙ্ক।
অভিযোগ কলকাতার মত রেডজোন থেকে অবাধে লরি ঢুকছে এলাকায়। অবাধে লরি চালকরা ঘুরছে এলাকায়। না আছে স্যানিটাইজেশন, না আছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়।
করোনা সংক্রামক রুখতে লকডাউন চলছে। মাস দুয়েক লকডাউনে পার হতেই কিছুটা শিথিল হয়েছে। তার মাঝে কাঁকসার অজয় নদীতে অবাধে চলছে অবৈধ বালিঘাট। বৈধঘাটের পাশেই চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। অজয় নদীর ওপর শিবপুর, কোটালপুকুর জঙ্গলঘাট, দেউল, পেয়ারাবাগান, নারকেলবাগান, সাতকাহানিয়ার বাঁশতলা, শ্মশানঘাট একাধিক ঘাটে অবাধে চলছে বালি উত্তোলন।
কোথাও জেসিবি দিয়ে চলছে বালি উত্তোলন। গ্রীনট্রাইবুনালের নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নদীর পাড়ের ৫০-১০০ মিটারের মধ্যেই চলছে বালি উত্তোলন। ফলে নদীর গতিপথ বদলে পাড় ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। আবার কোথাও নদীতে জল থাকায় পাম্প বসিয়ে জলমিশ্রিত বালি তোলা হচ্ছে। জলবালি মিশ্রিত বিশেষ ছাকনির সাহায্যে বালি আলাদা করা হয় নদীতে। তারপর ওই বালি জেসিবি দিয়ে লরিতে ভর্তি হয়ে পাচার হয় শহরে। আর পাম্প বসিয়ে বালি তোলার ফলে নদীতে অচিরে খাদ তৈরি হচ্ছে।
জলে তলিয়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনাও ঘটে। পাম্প বসিয়ে কিম্বা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বালি উত্তোলনে গ্রীনট্রাইবুনালের কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও রমরমিয়ে চলে পাম্প বসিয়ে বালি উত্তোলন। বেশ কিছু বৈধঘাটের পাশে অবাধে চলছে অবৈধঘাট। তারপর গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে নোভেল করোনা। কলকাতা, হাওড়ার মত রেডজোন থেকে এলাকায় লরি আসছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওইসব লরি ও তাদের চালকরা যেভাবে আসছে, তাতে রোগ সংক্রামক হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।”
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, নদীতে অবৈধ বালিঘাটের নজরদারির পাশাপাশি বহিরাগত লরি আনাগোনার ওপর। বনকাটি পঞ্চায়েতের প্রধান পিন্টু বাগদী জানান,” গ্রামবাসীরা গত কয়েকদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করছে। গোটা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস জানান,” এভাবে মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধ হওয়া দরকার। তাছাড়া বাইরের থেকে লরি আনাগোনার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কাছে জানানো হবে।”