রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত ২৯৭৪, মৃত ৫৫, সুস্থ ৩৩১৪
অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা: রাজ্যে সুস্থতার হার পৌঁছে গেল ৮০.২৮ শতাংশে। শুধু তাই নয়, টানা ৪ দিন হাসপাতালে কমল রোগীর সংখ্যা। বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ফের রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় নতুন সংক্রমণের হদিশ ২৯৯৭ জনের, মৃত্যু ৫৩ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৩১৮৯ জন।
২৪ ঘন্টায় ২৯৯৭ জন নতুন আক্রান্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫০৭৭২ জন। এদিন আরও ৫৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে সরকারি হিসেবে মোট করোনায় মৃত্যু ৩০১৭ জনের। ২৪ ঘন্টায় আরও ৩১৮৯ জন সুস্থের হিসেব ধরলে মোট সুস্থ হলেন ১২১০৪৬ জন।
এদিনও অন্যান্য জেলার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনাতে ৭১১ জন, কলকাতাতে ৭৭০ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৩৫ জন,জলপাইগুড়ি ১৬২ জন, দার্জিলিংয়ে ১৪৬ জন, হাওড়ায় ১৩৫ জন, হুগলিতে ১৩৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ২৬৭০৯ জন। এদিনও সুস্থতার হার বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে করোনা চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বাড়ার বদলে কমে গিয়েছে ২৪৫ জন।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, এদিন পর্যন্ত রাজ্যের ৭০ টি ল্যাবে মোট করোনা টেস্ট করা হল ১৭১৬৬০৭ জনের। যার মধ্যে ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে রেকর্ড সংখ্যক ৪২৪৭৪ জনের। রাজ্যের ৮৭ টি করোনা হাসপাতাল, ৩২ টি সরকারি এবং ৫৫ টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১২০৪৫ টি বেড আছে, আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে ১২৪৩ জনের। ভেন্টিলেটর রয়েছে ৭৯০ টি। তার মধ্যে মাত্র ৩৪.৬৯ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি ৫৮২ টি কোয়ারেন্টাইনে এখন রয়েছেন ২৫৩৭ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১০৭১৮৩ জনকে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫০২৫৯ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৪৫১৭৭৩ জনকে। রাজ্যের ২০০ টি সেফ হোমে ১১৫০৭ টি বেড রয়েছে এবং তাতে ১৬৯৭ জন রোগী রয়েছেন।
এছাড়া এদিনের বুলেটিনে জেলাওয়াড়ি তথ্যে জানানো হয়েছে, এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। বুলেটিন অনুযায়ী এ দিন ১৬ জনের মৃত্যু কলকাতায়, ১০ জন উত্তর ২৪ পরগনায়, ৭ জন হুগলিতে, ৫ জন হাওড়ায়। এছাড়া দার্জিলিং নদিয়া বাঁকুড়া পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ জন করে আর কোচবিহার জলপাইগুড়ি মালদা পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে আরও মোট ১৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এছাড়া এদিন অন্যান্য জেলার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনায় ৬৭৩ জন, কলকাতায় ৫৭১ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৩৬ জন, হাওড়ায় ১৫৮ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ২০২ জন, হুগলিতে ১৩৪ জনের উল্লেখযোগ্য হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিনও সংক্রমণ বেড়েছে রাজ্যের সব জেলাতেই।