পরীক্ষা ছাড়াই করোনা পজিটিভ রিপোর্ট কাটোয়া পুরসভার সাফাই কর্মীর

দিব্যেন্দু রায়, কাটোয়া: কোনও পরীক্ষা ছাড়াই করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এল কাটোয়া পুরসভার এক সাফাইকর্মীর। ওই কর্মীর রিপোর্ট পাওয়ার পর বুধবার তাঁর বাড়িতে যায় প্রশাসনিক প্রতিনিধিদল। তখন তাঁরা জানতে পারেন ওই সাফাই কর্মী আদপেই কোনও পরীক্ষা করাননি। জানা গেছে, কাটোয়া পুরসভার কর্মীদের নিয়মিত সোয়াব টেস্ট করানো হচ্ছে । গত দুদিনের মধ্যে কাটোয়া পুরকর্মীদের যা রিপোর্ট এসেছে তাতে পজিটিভ রিপোর্ট কারও আসেনি। তাহলে ওই পুরকর্মীর নামে যে রিপোর্ট এসেছে সেটি আদপে কার ? এই বিষয়ে কাটোয়া হাসপাতালের সুপার রতন শাসমল বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”
কাটোয়া পুরসভা সুত্রে জানা গেছে, কাটোয়া পুরসভার সমস্ত কর্মীদের রুটিন মাফিক কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হচ্ছে। সম্প্রতি ৪০ জন অস্থায়ী সাফাইকর্মীর করোনা পরীক্ষার জন্য পুরসভা থেকে নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। সাফাই কর্মীরা প্রত্যেকেই পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় হরিজনপাড়ার বাসিন্দা। গত ১৭ তারিখে হাসপাতালে সোয়াবের নমুনা দিতে যাওয়ার দিন ঠিক হয়। কিন্তু ওই দিন হরিজনপাড়ার এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার কারনে কেবলমাত্র ২১ জন সাফাই কর্মী সোয়াবের নমুনা দিতে গিয়েছিলেন বলে পুরসভা সুত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত দু’দিনে যে সমস্ত পুরকর্মী সোয়াবের নমুনা দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে এক জন বাদে সকলের নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। পজিটিভ রিপোর্ট আসে ওই সাফাই কর্মীর নামে। রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন তিনি বাড়িতে স্বাস্থ্যদফতরের প্রতিনিধিরা গেলে তিনি জানিয়ে দেন ওই দিন তিনি কোনও পরীক্ষা করাননি।
কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইনচার্জ তথা স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ওনার কথা বিশ্বাস না করেই হাসপাতাল সুপারের কাছে খবর নিই। তখন সুপার হাসপাতালের নথি দেখে জানান সন্তোষ সেদিন পরীক্ষার জন্য যাননি। এখন সন্তোষ যদি পরীক্ষা না করিয়ে থাকে তাহলে কোনও না কোনও একজনের তো পজিটিভ রিপোর্ট রয়েছে। তাহলে কে তিনি ? এটা খুব চিন্তার কারন হয়ে গেল । উক্ত ব্যক্তির খোঁজ করা প্রয়োজন । আমি এনিয়ে হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে আলোচনা করছি।”