
শরণানন্দ দাস, কলকাতা: আশঙ্কাটা শেষমেষ সত্যি হল। আনলক – ১ পর্বে বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনগুলি সরকারের কাছে চালক ও কণ্ডাক্টরদের জন্য মাস্ক, হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস দাবি করেছিলেন। বলাবাহুল্য সেই দাবি পূরণ হয়নি। বাস মালিকরা প্রশ্ন তুলেছিলেন কোন পরিবহণ কর্মী করোনা আক্রান্ত হলে কি হবে? সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে বেসরকারি বাস চালকদের মধ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন শ্যামবাজারের বাসিন্দা অবতার সিং।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার পরিবহণমন্ত্রী, পরিবহণ ডিরেক্টরেট ও স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করে করোনায় মৃত বাসচালকের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, মৃতের ছেলে মেয়ের মধ্যে যে কোন একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার আবেদন জানাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ অবতার সিং ৩০ডি রুটের বাস চালাতেন। গত ১২ আগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়ায় বিষয়টি আমরা প্রকাশ্যে আনিনি। ওঁর এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকেও যতটা সম্ভব আর্থিক সাহায্য করবো। সবরকমভাবে পরিবারটির পাশে রয়েছি আমরা।’
আরও পড়ুন: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, ২০১২ এসএসসি মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট
এদিকে সূত্রের খবর, বিভিন্ন সংগঠনের আরও ৫ জন বাসচালক করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। একাধিক কণ্ডাক্টরও আক্রান্ত। শরীরে উপসর্ণ রয়েছে এমন আরও ২৫ জনের রিপোর্ট আসা বা পরীক্ষা বাকি। ফলে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন বাস মালিকরা। এমনিতেই লোকসানে চলছে বাস, তার উপর করোনা সংক্রমণের ভয়। বাস চালক, কণ্ডাক্টররা জানাচ্ছেন, তাঁদের পর্যাপ্ত মাস্ক বা স্যানিটাইজার নেই। অফিস টাইমে যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বিধি মানছেন না। ফলে সংক্রমণের ভয় প্রতি মুহূর্তে। এই পরিস্থিতিতে অনেক পরিবহণ কর্মী কাজ করতে চাইছেন না। এমনিতেই রাস্তায় বাস কম, এবার আরও কমতে পারে বাসের সংখ্যা। ফলে দুর্ভোগ বাড়ার সম্ভাবনা নিত্য যাত্রীদের।