করোনা কেড়ে নিল এক কৃতী চিকিৎসকের প্রাণ, মেদিনীপুর শহরে শোকের ছায়া

সুদর্শন বেরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: করোনা কেড়ে নিল এক কৃতী চিকিৎসকের প্রাণ। মেদিনীপুর শহরে শোকের ছায়া। মেদিনীপুর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদিরাম নগরের মেদিনীপুর কেডি কলেজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক ৫৫ বছর বয়সী অমল রায় বীরভূমের সিউড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কয়েকদিন আগে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার পর বীরভুমের বোলপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে তাকে কলকাতার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কলকাতার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে কয়েকদিন আগে মেদিনীপুর শহরের ক্ষুদিরাম নগর এলাকায় কেডি কলেজের পাশে নিজের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অমল রায়। তিনি কৃতি চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। করোনা যোদ্ধা হিসেবে প্রথম সারিতে থেকে বহু করোনা রোগীর চিকিৎসা করেছেন। তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক অমল রায়ের প্রাণ কেড়ে নিল করোনা। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবারের সকলেই। অবশেষে নিজেই করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।
আরও পড়ুন: দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, নৌকা ডুবে মৃত্যু ৫ যুবকের
চিকিৎসক অমল রায়ের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে ওই চিকিৎসক স্ত্রী-কন্যা রয়েছেন, রয়েছে দাদা বৌদি ভাইপো ভাইঝি। কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন ওই কৃতি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে মেদিনীপুর শহরে নিজের বাড়িতে। ওই ঘটনায়এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা বিধির নিয়ম মেনেই তার সৎকার করা হবে মেদিনীপুর শহরের পদ্মাবতী শশান ঘাটে বলে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়।