লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, পরিযায়ী শ্রমিক প্রত্যাবর্তনে উদ্বেগ বাড়ছে নদীয়া জেলা প্রশাসনের
শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর : পরিসংখ্যান খুব উদ্বেগজনক। ভিনরাজ্য থেকে ফেরৎ আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশিরভাগ অংশের লালারস পরীক্ষা থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে। সবথেকে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্র ফেরৎ শ্রমিকেরা। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের উদ্দেশ্যে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আবেদন করেছেন তিন।ভিনরাজ্য থেকে যারা ফিরছে, এরা প্রত্যেকেই আমাদের ঘরের ছেলে-মেয়ে। এদের প্রত্যেককেই স্বাগত কিন্তু যেহেতু সংক্রমণ ব্যাধির মোকাবেলায় আমরা সকলেই তৎপর,তাই সাবধানতা অবলম্বন অত্যন্ত জরুরি, তাই পরিবারের সকলের কথা মাথায় রেখে প্রথমেই সরাসরি বাড়িতে নয়। প্রথমে সকলকে থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। এই মুহূর্তে ফেরতের সংখ্যা যেমন অনেক এবং সরকারী পরিকাঠামো সহ সার্বিক দিক বিচার বিশ্লেষণ করে
প্রত্যেক গ্ৰামেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে।গ্ৰামের প্রাইমারি স্কুলই এখন থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার।ওখানে ১৪ দিন থেকে শারীরিক পরীক্ষায় সুস্থ্যতার প্রমাণ দিয়ে তবেই ফিরতে হবে বাড়িতে।পানীয় জল,আলো,বাতাস সব ব্যবস্থা ই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করা হবে, তবে খাবার পৌঁছাতে হবে নিজ নিজ বাড়ি থেকেই। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে।তবে চা,পান,বিড়ি, সিগারেট এর জন্য কোন অবস্থাতেই বাইরে বের হওয়া চলবে না এবং নির্দেশিকা অমান্য করলেই কড়া আইনি ব্যবস্থা,এ নির্দেশ সাংসদ মহুয়া মৈত্রের।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী গত তিন দিনের রিপোর্ট এরকম গত মঙ্গলবার জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬, বুধবার এক ধাক্কায় সংখ্যা টা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮, এবং গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা যোগ হয় ১৪ অর্থাৎ মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ । লকডাউনের পর এপর্যন্ত বিভিন্ন পেশায় যুক্ত প্রায় ২৭ হাজার মানুষ এই জেলার ঢুকেছে। এদের মধ্যে ৬২৩৪ জনের লালারস পরীক্ষা হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে ২০৯৩ জনের। এর মধ্যে পজিটিভ ৫২ । এদের মধ্যে অর্থাৎ ৬২৩৪ জনের মধ্যে সাড়ে চার হাজার ই পরিযায়ী শ্রমিক। এবং এই পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ৩৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হলেও নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। জেলা শাসক বিভূ গোয়েল সার্বিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছেন।