করোনার মাঝে নিষেধাজ্ঞা বর্বরতার চরম নজির: ইরানি সেনাপ্রধান

তেহেরান: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা যে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা বর্বরতার চরম নজির। এক অনলাইন সেমিনারে এমনই মন্তব্য করেছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ হোসেইন বাকেরি। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান অতি জরুরি ওষুধপত্র ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি করতে পারছে না।
একইসঙ্গে তিনি ইজরায়েলের সঙ্গে আরব আমিরশাহিসহ কয়েকটি মুসলিম দেশের সম্পর্ক স্থাপনের সমালোচনা করেছেন। জেনারেল বাকেরির কথায়, ‘কয়েকটি মুসলিম দেশ আমেরিকার পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে ইহুদিবাদী ইজরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মাধ্যমে মুসলমানদের পিঠে ছুরি মেরেছে। এ কারণে মুসলিম উম্মাহ এখন চরম সংকটময় সময় পার করছে।’
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলামানি নিহত হওয়ার পর থেকেই মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ইরানের বিরোধ চরম আকার করে। এরপর, গত ২৮ মে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। একইসঙ্গে, ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়।
এ প্রসঙ্গে, রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখতে রাভানচি বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়ার অধিকার সব দেশের রয়েছে। কিন্তু, নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সে অধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে।’ তবে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তারা খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। কিন্তু রাভানচি ওয়াশিংটনের এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। রাভানচির যুক্তি, আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ব্যাংকিং খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে আমেরিকা। এর ফলে কোনও লেনদেন করা যায় না। একই কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ইরান কোনও ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি করতে পারছে না।