fbpx
গুরুত্বপূর্ণদেশহেডলাইন

নয়া কোভিডবিধি জারি করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, কনটেনমেন্ট জোনে আরও কড়া নজরদারি

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক:  কোভিড বিধি এখন অনেকটাই আলগা হয়েছে। লকডাউনও তেমন করে পালিত হচ্ছে না। চলছে বহু যানবাহন, খুলে গেছে কর্মক্ষেত্র। বাজার-দোকানে ভিড় সব জায়গাতেই স্পষ্ট। অথচ কোভিডের সংক্রমণ যে কমে গেছে, তা কিন্তু নয়। ফলে লাগাম আলগা হতেই দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে হু হু করে বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। এমনই পরিস্থিতিতে নতুন কোভিড গাইড লাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

সেই নির্দেশিকায় কনটেনমেন্ট জোনে কড়াভাবে নিয়মকানুন মানার উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকার কোনও লকডাউন  করা চলবে না। তবে সংক্রমণ রুখতে নাইট কারফিউ জারি করা যেতে পারে। অক্টোবরের শেষে আনলক ৫-এর নির্দেশিকার মেয়াদ আরও একমাস বাড়ানো হয়েছিল। এবার নভেম্বর মাস শেষ হওয়ার আগেই নতুন এক দফা নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। যা ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। অর্থাৎ বছর শেষেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হচ্ছে না জনজীবন।

কনটেনমেন্ট জোনে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া যাতে কেউ ওই এলাকায় আসা-যাওয়া করতে না পারেন, সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে এ দিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পরীক্ষা বৃদ্ধি, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন বাড়ানোর দিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।

উৎসব পরবর্তী পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। এমন আবহে কয়েকটি রাজ্যে নাইট কারফিউ জারি করা হচ্ছে। যা দেখে নতুন করে লকডাউনের গুজব ছড়িয়েছিল। সেই গুজব সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, সংক্রমণ রুখতে নাইট কারফিউ-এর মতো পদক্ষেপ করা যেতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া কোনও লকডাউন করা যাবে না। চলবে না অন্তঃরাজ্য বা আন্তঃরাজ্য গণপরিবহণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা।

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের বাংলায় না পোষালে কাশ্মীর বা যোগী রাজ্যে গিয়ে থাকুক: সৌগত রায়

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় সপ্তাহে ১০ শতাংশের বেশি করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলছে, সেখানে থাকা অফিসগুলির দিকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে অফিসের টাইমিং বদল করতে হবে। পুরনো সমস্ত নিয়মই কার্যকর থাকছে। খোলা থাকবে সিনেমা হল, অনুষ্ঠান মঞ্চ। মূলত, সচেতনতা বৃদ্ধি করে কীভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করা যায়, রাজ্যগুলির উদ্দেশে সেই নির্দেশিকাই জারি করা হয়েছে। বছরের শেষ মাস পুরোটাই এই নিয়ম লাগু থাকবে। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকায় স্পষ্টই বলা হয়েছে, মাস্ক পড়া, হাত ধোয়া ও ভিড় এলাকায় শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার মতো বিষয়গুলি মানা হচ্ছে কিনা, তা যথাযথভাবে দেখতে হবে রাজ্যকেই। এই নিয়ম মানার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুরসভাকে দায়িত্ব নিতে হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একজন নির্দিষ্ট আধিকারিককে এই দায়িত্ব দিতে হবে, যিনি এই নিয়ে দায়বদ্ধ থাকবেন।

একইসঙ্গে করোনা রোগী, তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন সকলকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিতকরণ করে চিকিৎসা শুরু করাতে হবে। পাশাপাশি, করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে প্রত্যেক রাজ্যেকে নেগেটিভিটি রেট বাড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, এই লকডাউনের সময় বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে বিবিধ মন্ত্রকের যা নির্দেশিকা তা কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ যেমন দেওয়া হয়েছে, তেমনি বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কথাও বলা হয়েছে।

 

 

 

Related Articles

Back to top button
Close