নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: দেশের মধ্যে এই প্রথম করোনা ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগে কাউকে জেলে পাঠানোর ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগে শুক্রবার ভূপাল জেলা আদালতের বিচারপতি সুরেশ শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ ৫১ জন তাবলিগ-ই-জামাত সদস্যকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়।
এর একদিন আগে আরো ১৮ জন সদস্যকে ২৭ মে পর্যন্ত জেলে রাখার নির্দেশ দেয় ওই ডিভিশন বেঞ্চ। এদের জামিনের আবেদনও প্রত্যাহার করেছে আদালত। বন্দি মোট ৬৯ জন তাবলিগ-ই-জামাত সদস্যের মধ্যে ৫৪ জন বিদেশী সদস্য আছে। তারা ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, কানাডা, লন্ডন, পেনসিলভেনিয়া এবং উজবেকিস্তানের বাসিন্দা। বাকি ১৫ জন ভারতীয় বিহার, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ভোপালের বাসিন্দা।
রবিবার এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর মধ্যপ্রদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিল্লির নিজামুদ্দিনে খবর সামনে আসার পর থেকে ভোপালের বিভিন্ন থানায় এই জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে নিজেদের ভ্রমণ ইতিহাস গোপন করে মানুষের সাথে অবাধে মেলামেশার বহু অভিযোগ দায়ের হয়। এর পর তাঁদের চিহ্নিত করে এফআইআর দায়ের করার পর দীর্ঘ একমাস কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তারপর আদালতে হাজির করা হয়ছে এদের। আরো সদস্যকে হাজির করা হবে দাবি করেছেন ভোপাল পুলিশের এক উর্ধ্বতন অফিসার।
পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় দন্ডবিধির ১৮৮ নম্বর ধারা (সরকারী আদেশ অমান্য), ২৬৯ নম্বর ধারা (অবহেলা করে বিপজ্জনক রোগের সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি করা), ২৭০ নম্বর ধারা (জীবনের পক্ষে বিপজ্জনক এরকম মারাত্মক রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়া) এবং জাতীয় বিপর্যয় আইনের ৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ৫৪ জন বিদেশি তাবলিগ জামাত সদস্যের বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৩ ও ১৪ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছে আদালত।