করোনা! শিলিগুড়িতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে টেস্ট বাড়ানোর পক্ষে জোর সাওয়াল অশোকের
সঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিলিগুড়ি : করোনার উপসর্গ ছাড়া লালরস পরীক্ষা না করার যে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছে তা ভুল বলেই মনে করেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ির প্রেক্ষিতে তো নয়ই।
শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস পরিষেবা চালু হলো। বৃহস্পতিবার থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে শুরু হবে বিমান চলাচল। কিছুদিনের মধ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে লকডাউনে মহারাষ্ট্রে আটকে থাকা বহু মানুষও শিলিগুড়িতে আসতে শুরু করবেন। এই প্রেক্ষাপটে শিলিগুড়িতে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে পারে। বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য তাঁর এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেন, ‘ অবিলম্বে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো দরকার। প্রয়োজনে বেসরকারি ল্যাবগুলি ব্যবহার করতে হবে।’
এদিকে রাজ্য সরকার ২৪ ঘন্টা আগেই ঘোষণা করেছে, করোনা উপসর্গ দেখা দিলেই সেই ব্যক্তির লালারস পরীক্ষা করা হবে। বাইরে থেকে আসা উপসর্গহীন ব্যক্তিদের লালা রস পরীক্ষা যেমন করা হবে না সেরকম তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন রাখা হবে। শিলিগুড়ি প্রাক্তন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোকবাবু রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। তার কথায় শহরে দোকান বাজার সব খুলে গিয়েছে। বাইরে থেকেও অনেক মানুষ এসে গিয়েছেন। আরও অনেক আসবে। এই পরিস্থিতিতে হাটে বাজারে, রাস্তায় মানুষের মধ্যে অবাধ মেলামেশা শুরু হয়েছে। বাইরে থেকে কে বা কারা করোনা সংক্রমিত হয়ে এসেছেন তা বোঝা সম্ভব নয়। এর থেকে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শহরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শনগরে এক বাসিন্দা দিল্লি থেকে করনা সংক্রমিত হয়ে এসেছিলেন। এখানে এসে সেই ব্যক্তি ১ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বন্ধুর বাড়ি আশ্রয় নিয়ে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করেছে। তারপরই দিল্লি থেকো খবর আসে ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত।
অশোকবাবু বলেন,’ এই ঘটনায় আমি উদ্বেগে রয়েছি। কেননা ১ নম্বর ওয়ার্ডের যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল ওই ব্যক্তি সেটি একটি বস্তি এলাকা। আবার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের যেখানে তার বাড়ি সেটিও একটি বস্তি। ফলে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আরও কেউ সংক্রমিত হলে বস্তি এলাকায় করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। গোটা পরিস্থিতির উপর আমাদের নজর রয়েছে। এই বিপদ এড়ানোর জন্যই এখন করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাগানো দরকার। বিশেষ করে বস্তি এলাকাগুলিতে।