
অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। জানা গিয়েছে, তাঁকে হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের দাবি, সাংসদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
প্রসঙ্গত,শীত শুরু হতে না হতেই শহর জুড়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। সংক্রমণ রুখতে কলকাতা পুরসভাকে ফের কন্টেনমেন্ট জোন করার পথেই যেতে হল। শহরে তিনটি নতুন কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত ২৭ নভেম্বর, শুক্রবার জারি করা এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, টালিগঞ্জ ও গড়িয়ার একাংশকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে হয়েছে। কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে কলকাতা পুরসভা ৬৯ নম্বর, ৮৭ নম্বর ও ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি পৃথক এলাকা। এর মধ্যে ৮৭ ও ৬৯ ওয়ার্ড পড়ছে কলকাতা পুরসভার ৮ নম্বর বরো এলাকায় আর ১১০ নম্বর ওয়ার্ড পড়ছে ১১ নম্বর বরো এলাকায়। ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে একটি কমপ্লেক্সের কিছু অংশ কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে। ওই কমপ্লেক্সের টাওয়ার সুকেতের দ্বিতীয় ও চতুর্থ তলা এবং টাওয়ার সুকৃতের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলা কনটেনমেন্ট জোন। কলকাতা পুরসভার ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের আর এক কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার দুটি ফ্ল্যাটকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। টালিগঞ্জে এই কমপ্লেক্সের ঠিকানা ১৮ নম্বর রাজা বসন্ত রায় রোড, কলকাতা – ৭০০০২৬। আর গড়িয়ার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের ৯ নম্বর ভ্যালি পার্কের একাধিক ফ্ল্যটকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাটপাড়ায় শ্রমিক মালিক অসন্তোষ… বন্ধ হল রিলায়েন্স জুটমিল, কর্মহীন ৩ হাজার শ্রমিক
তবে কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত দুই বোরোতে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাপে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয় পুরসভা শুরুর দিন থেকেই যথেষ্ঠ তৎপর। সংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরণের ব্যবস্থা জারি আছে। কিন্তু পুরসভার আধিকারিকদের মতে, মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে সচেতনতা কমছে। অবাধে মুখ খুলে মেলামেশা করছে। তাই নতুন করে করোনা বাড়ছে। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে কারুর পক্ষেই কিছু করা সম্ভব নয়।