দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে বিপত্তি…রাজ্যের ‘ব্যর্থতা’য় ফাটল, অভিযোগ সুভাষ সরকারের

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার সকাল দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে বিপত্তি বাঁধে। দামোদরের বুকে মাছ ধরতে গিয়ে মৎস্যজীবীরা দেখতে পান বাঁকুড়ার বড়জোড়ার দিক থেকে দুর্গাপুরের দিকে আসতে ৩১ নম্বর লকগেট দিয়ে হুড়হুড় করে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। এরপর তাঁরা কাছে গিয়ে দেখেন লকগেটের একটি অংশ ভেঙে সেখান থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। তাঁরাই খবর দেন সেচ দপ্তরের কর্মীদের।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে দিশাহারা ইঞ্জিনিয়াররা। তবে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ক্ষতিগ্রস্ত গেট সারিয়ে তোলার মতো অবস্থা নেই। হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় জলাধার থেকে হু হু করে বেরিয়ে যাচ্ছে জমা জল। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ব্যারাজ থেকে জল বেরিয়ে যাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায়। খবর পেয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল, নগর নিগমের চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন। ঘুরে দেখেন এলাকা। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও সেচ দপ্তরের কর্মী বা আধিকারিকদের দেখা মেলেনি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
শুক্রবার রাত থেকেই ব্যারাজের ৩১ নং লকগেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাত থেকেই ধীরে ধীরে সব জল বেরিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ব্যারাজে কমপক্ষে দেড় লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখা যায়। তবে রাত থেকেই ব্যারাজের পরিস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাত সকাল থেকে প্রচুর মানুষ ব্যারাজ দেখতে ভিড় করতে শুরু করেন। দুর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি জানান, “সেচ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সব জানানো হয়েছে।” শহরে যাতে পানীয় জলের সংকট না হয় তা মোকাবিলা পুরসভা প্রস্তুত বলেও জানান মহানাগরিক। দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,”শহর জুড়ে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ অযথা জল অপচয় বন্ধ করেন।”
আরও পড়ুন: পাহাড়ে নামছে পারদ, চলতি বছরে জাঁকিয়ে শীতের পূর্বাভাস কলকাতায়
দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভেঙে যাওয়ায় এবার রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। শনিবার দুর্গাপুর ব্যারেজ দিয়ে কলকাতা যাওয়ার পথে ঠিক এই প্রতিক্রিয়া দিলেন সুভাষবাবু। বাঁকুড়ার সাংসদের প্রশ্ন, কেন বছর তিনেক আগে এক নম্বর লকগেট ভাঙার পরও সেই অর্থে কোনো উদ্যোগ সরকারি স্তরে নেওয়া হল না।প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেও এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল এই জলাধারটি। ১ নং লকগেট ভেঙে যাওয়ায় বেরিয়ে গিয়েছেল সব জল। ব্যারাজ পুরো জলশূন্য হয়ে পড়েছিল। এবারও সেই পরিস্থিতি হতে চলেছে বলে অনুমান ব্যারাজের কর্মীদের। উল্লেখ্য, আপদকালীন পরিস্থিতিতে ব্যারাজের বিপুল পরিমাণ জল আটকানোর কোনও পরিকাঠামো নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেও এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল এই জলাধারটি। ১ নং লকগেট ভেঙে যাওয়ায় বেরিয়ে গিয়েছেল সব জল। ব্যারাজ পুরো জলশূন্য হয়ে পড়েছিল। এবারও সেই পরিস্থিতি হতে চলেছে বলে অনুমান ব্যারাজের কর্মীদের। উল্লেখ্য, আপদকালীন পরিস্থিতিতে ব্যারাজের বিপুল পরিমাণ জল আটকানোর কোনও পরিকাঠামো নেই।