চিকিৎসা করে আর বাড়ি ফেরা হল না, দুর্ঘটনায় মৃত্যু করোনা রোগি সহ অ্যাম্বুলেন্স চালকের

মিলন পণ্ডা, পাঁশকুড়া (পূর্ব মেদিনীপুর): পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হল অ্যাম্বুলেন্স চালক সহ এক করোনা রোগির। আহত আরও দুজন করোনা রোগি সহ একজন স্বাস্থ্যকর্মী। আহতরা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরা সকলেই অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ছিলেন।
রবিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে সকাল ৭ টা নাগাদ মেছোগ্রাম যাওয়ার পথে কোলিশ্বরে কাছে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী লরির পিছনে ধাক্কা মারে অ্যাম্বুলেন্সটি। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম রাজু মণ্ডল (৩৬)। তার বাড়ি কোলাঘাট থানার গোপালনগর গ্রামে। অ্যাম্বুলেন্স থাকার বাকিদের গুরতর জখম অবস্থায় পাঁশকুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আরও একজনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থাস্থ্যদফতর সূএে জানা গিয়েছে শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের গোপালনগর গ্রামের ভিন রাজ্য থেকে ফেরত তিনজন পরিয়ারী শ্রমিক করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে।
রবিবার সকালে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগি ও স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স করে পাঁশকুড়া বড় মা করোনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছিল। জাতীয় সড়কের মেছোগ্রাম যাওয়ার পথে কোলিশ্বরে অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরির পেছনের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে পাঁশকুড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ও পাঁশকুড়া হাসপাতালে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। আহতদের উদ্ধার করে পাঁশকুড়া করোনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা আক্রান্ত রোগির মৃত্যু হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল বলেন, করোনা আক্রান্ত তিনজন পরিযায়ী শ্রমিকে পাঁশকুড়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। অ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা আক্রান্তের একজনের মৃত্যু হয়। বাকি আহত করোনা আক্রান্ত রোগি ও স্বাস্থ্যকর্মীরা পাঁশকুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পাঁশকুড়া থানার ওসি অজয় মিশ্র জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী লরিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।