দুর্গাপুরে জলাধারের জলে তলিয়ে মৃত্যু পড়ুয়ার, নিখোঁজ ১

জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: জলাধারের জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে মৃত্যু হল পড়ুয়ার। নিখোঁজ আরও এক পড়ুয়া। শনিবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডিএসপি জলাধারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অজয় দাস (২১)। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এবং নিখোঁজ বছর ২২ এর পড়ুয়ার নাম রীরু চৌধুরী। তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁদের দুইজনেরই বাড়ি ওই ওয়ার্ডের ওয়াড়িয়া কোল ডিপো এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকালে দুই পড়ুয়া রীরু ও অজয় দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) একটি জলধারে স্নানে নামে। প্রথমে ওই দুই বন্ধু জলে নেমে একে অপরের মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তোলেন। জলাধারের পাড়ে পরে থাকা তাঁদের দুটি মোবাইল ফোন থেকে ছবি তোলার প্রমান পায় পুলিশ। এরপর থেকে ওই দুই পড়ুয়া নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যার সময় এলাকাবাসীর নজরে পড়ে জলাধারের পাড়ে জামাকাপড়, দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ও একটি বাইক চাবি লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে জলে তাঁদের তল্লাশি শুরু করে। রাতের অন্ধকারে উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে যায়।
রবিবার সকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ফের উদ্ধার কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল আসে। স্থানীয় কাউন্সিলারের উদ্যোগে মেশিন দিয়ে জলাধারের কচুরিপানা পরিস্কার করার পর শুরু হয় উদ্ধারকাজ। রবিবার দুপুরে একজন পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হলেও অপর পড়ুয়ার এদিন বিকাল পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি। মৃতের ভাই মহেশ কুমার দাস বলেন, “দাদা ও তাঁর বন্ধু স্নান করতে এসেছিল। তার পরেই এই ঘটনার খবর পাই। আগে কখনও এখানে স্নান করেনি।দু’জনই অল্পবিস্তর সাঁতার জানত। কিন্তু কচুরিপানা থাকায় দূর্ঘটনার কবলে পড়েছে।”
স্থানীয় কাউন্সিলার তথা পুরসভার ৫ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান লোকনাথ দাস বলেন,” ডিএসপি’র এই জলধারটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। এত বড় জলাধার সম্পূর্ণ কচুরিপানাতে ভরে গিয়েছে। গ্রীষ্মের সময় অনেকে স্নান করে। কিন্তু এই জলধারটি বর্তমানে বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কচুরিপানা না থাকলে এই ধরণের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হত না ওই দুই পড়ুয়াকে।” পুলিশ একজন পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুুুুলিশ।