
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টি আর অন্যদিকে দোসর হড়পা বান এই দুইয়ের জেরে বিপর্যস্ত হিমাচলা প্রদেশ। ক্রমেই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। রাজ্যের সরকারের তরফে জোরকদমে উদ্ধারকাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ২২জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩১। হিমাচল, উত্তরাখন্ড, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৩১।
শনিবারই ভোর থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয় হিমাচল প্রদেশে। লাগাতার প্রবল বর্ষণের জেরে একাধিক জায়গায় হড়পা বানও শুরু হয়। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডিরেক্টর সুদেশ কুমার মোখতা জানান, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় এক পরিবারের ৮ সদস্য সহ মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টি-ধসের জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মান্ডি, কাংড়া ও চাম্বা জেলাতে।
মান্ডি ও সিমলা-চণ্ডিগড় হাইওয়ে মিলিয়ে কমপক্ষে ৭৪৩টি রাস্তা ধসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাট, বাড়ি, দোকান জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবনও।
শুধুমাত্র মান্ডিতেই হড়পা বান ও ধসের কারণে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। হড়পা বানে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন কমপক্ষে ৫ জন। কাশান গ্রামে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে।
গতকালই হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় চাক্কি নদীর উপরে তৈরি রেলব্রিজও ভেঙে পড়ে লাগাতার বৃষ্টি ও নদীর জলস্রোতের কারণে। এর জেরে পঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের মধ্যে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। আগামী ২৫ অগস্ট অবধি রাজ্যে অতি ভারী বৃষ্টি ও ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলো সতর্ক করেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।