সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কঠোর আইন আনছে ফ্রান্স, সঙ্গে বিতর্ক

প্যারিস, (সংবাদ সংস্থা): চরমপন্থীদের মোকাবিলায় কড়া আইন চান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। এই নিয়ে আগামী ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে এই বিল আনা হবে। সেই বিলের কিছু প্রস্তাবিত ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই। যেমন, ফ্রান্সের মসজিদগুলিতে কীভাবে অর্থ আসছে, তা দেখা হবে। ধর্মীয় সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও স্ক্রুটিনি হবে। সূত্রের খবর, ১৯০৫ সালে রাষ্ট্র থেকে চার্চকে আলাদা করতে আইন তৈরি হয় ফ্রান্সে। এবার সেই আইনকেই সংশোধন করে নতুন ব্যবস্থাগুলি ঢোকানো হবে।
ম্যাকরনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার মাঝে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ফ্রান্স এখন চরমপন্থী মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে।’ শুধু তাই নয়, প্রস্তাবিত বিলে ‘বিপরীত লিঙ্গের ডাক্তারের কাছে সেবা না নিলে শাস্তির বিধান’ থাকার কথা জানিয়েছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দারমানিনের কথায়, ‘কোনো পুরুষ যদি চিকিৎসকের কাছে যান এবং বলেন মহিলা ডাক্তারের কাছে তিনি চিকিৎসা করাবেন না, তা হলে পাঁচ মাসের জেল ও ৭৫ হাজার ইউরো জরিমানা হবে।
একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে মেয়েদের ক্ষেত্রেও। কোনও সরকারি কর্মকর্তার উপর চাপ সৃষ্টি করলে বা কোনও শিক্ষকের কাছে পড়তে না চাইলেও শাস্তি হবে।’ এরপরেই স্যোসাল মিডিয়ায় শুরু হয় বিতর্ক, সমালোচনার ঝড়। বিশেষ করে চিকিৎসক বা নার্সের কাছে চিকিৎসা নিতে অস্বীকার করলে জেলে যেতে হবে, বিপুল ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই ব্যবস্থার সমালোচনায় মুখর হন নেটিজেনরা। তবে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য নতুন নয়। স্যামুয়েল প্যাটির হত্যার পর তিনি বলেছিলেন, সুপারমার্কেটে হালাল ও কোশার খাবার দেখে তিনি অবাক হয়ে যান। তার কাছে, এটাও বিচ্ছিন্নতাবাদের উদাহরণ।