পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন
শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় আরও সাতদিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত

কৃষ্ণা দাস, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে আক্রান্তের হার বাড়ছে। নিয়ন্ত্রনের বাইরে করোনা। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনকে আরও লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। মঙ্গলবার টাস্ক ফোর্সের জরুরী বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আগামী কাল বুধবার শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল লকডাউন। কিন্তু যে হারে করোনা বাড়ছে তাতে লকডাউন বাড়াতে হল। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বৈঠক শেষে সেকথাই জানালেন। এই বৈঠকে দার্জিলিং জেলারনজেলা শাসক এস পুনমবলম ছাড়া অন্যান্য টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা ছিলেন। পুরনিগম পুলিশ প্রশাসনও ছিল। এদিন সবজি বাজার খোলার বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এদিন বৈঠকের পর পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে পদ্ধতি বা নিয়ম মেনে গোটা রাজ্যে লকডাউন চলছে সেইমতই শিলিগুড়িতেও বহাল থাকবে লকডাউন। এদিকে বুধবার শিলিগুড়ির লকডাউন শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু তা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর কথা জানালেন মন্ত্রী। আর এই লকডাউনে করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে বেশ কিছু দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের কেনা বেচার ওপর ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে। তবে আপাতাত শিলিগুড়ির রেগুলেটেড মার্কেটের মাছ বাজার ছাড়া সবজি ও ফল বাজার খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি, চম্পাসারী এসজেডি-এর বাজারও খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে হোলসেল নয়া বাজার খোলার ক্ষেত্রে জেলাশাসক বাজার কমিটির সাথে মিটিং করে তা কিভাবে খোলা যায় সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান মন্ত্রী। সেই সঙ্গে সুকনা, কালামজোত, আঠারোখাই এলাকাগুলিকেও কনটেনমেন্ট জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর শিলিগুড়ি পুরনিগমে অন্তর্ভুক্ত জলপাইগুড়ি জেলার অংশ গুলিতেও যাতে আরও সাত দিন লকডাউন বহাল থাকে, সেই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হবে। সেইসঙ্গে আরও চিকিৎসার বিস্তার করতে শিলিগুড়ি হাসপাতাল এবং মেডিকেলে সেমি আইসিইউ বেড কিছুটা বাড়ানো হবে বলে জানান মন্ত্রী।
নার্সিংহোম গুলিতেও ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন করে আরও নরমাল বেডে চালু করার নির্দেশ দেন তিনি। শিলিগুড়ি পুর অঞ্চল ও মাটিগাড়ায় এলাকায় ১৫০ সীটের সেভহোম ও জলপাইগুড়িতে ১০০ জনের সেভ হোম দ্রুত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রেও জোর দিতে চলেছে জেলা প্রশাসন। সেক্ষেত্রে পুর অঞ্চলে তিনটে কিঅস্ক তৈরি করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরিক্ষার নিয়মবিধি মেনে সোয়াব কালেক্ট করবে। এবং তা জেলা হাসপাতালে মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে পাটাবে বলে জানান মন্ত্রী। বেসরকারি নার্সিংহোম গুলির ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা হচ্ছে, যেমন কেউ মারা গেলে অ্যাম্বুলেন্স ডেথ ক্যারেজ নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে জেলা শাসক তাদের সাথে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে মন্ত্রী জানান। আরও দুটো অতিরিক্ত অ্যাম্বুলেন্স পুরনিগমকে দেওয়া হয়েছে। তাদের নোডাল অফিসারও দিতে বলা হয়েছে, যাতে তারা অ্যাম্বুলেন্স গুলিকে কাজে লাগাতে পারে বলে জানান গৌতম দেব। পাশাপাশি লকডাউনের নতুন বিধিনিষেধ রাজ্য সরকারের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী হবে বলে এদিন স্টেট গেস্ট হাউসে টাস্ক ফোর্সের মিটিং শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।