
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরেই, অকৃতকার্য হওয়ার পরেও পাস করানোর দাবিতে উত্তপ্ত সমাজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আন্দোলনকারীরা ট্রোলের শিকার হলেও তারা দমবার পাত্রী নন। প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এবার এই ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলন নিয়ে মুখ্য খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আমাদের সময় এই রকম আন্দোলনের কথা ভাবতেও পারতাম না’।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’ উদ্বোধনের সময় মমতা বলেন, ফেল করেছি, অথচ আমাকে পাস করাতে হবে। এ কেমন কথা? কখনো শুনিনি এমন। আমাদের সময়ে এটা আমরা ভাবতেও পারতাম না। আসলের যাদের ইন্ধনে তারা এই কাজ করছে এটা তাদের দোষ।
পশ্চিমবঙ্গে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার মাধ্যমিকের চেয়েও বেশি। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কর্মকর্তারা জানান, যারা অকৃতকার্য হয়েছেন, তারা কোনোভাবেই পাসের যোগ্য নন।
শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব জানান, এবার প্রতিটি বিভাগে অনেক বেশি প্রশ্ন ছিল। ফলে প্রশ্ন বাছাইয়ের সুযোগও ছিল অনেক বেশি। যারা অকৃতকার্য হয়েছেন, তাদের বেশ কয়েক জনের খাতা পুনরায় দেখা হয়েছে। চিরঞ্জীবের দাবি, অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা যে-নম্বর পেয়েছেন, সেই নম্বরও অনেক সহানুভূতির সঙ্গে দেওয়া হয়েছে।