
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজও বাঙালী মেতে ওঠে পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে…… গানের সুরে। মহীনের ঘোড়াগুলি’ নামটি নির্বাচন করেছিলেন তিনি। সেই বড় স্তম্ভটি আজ আর নেই। রঞ্জন ঘোষাল।
মহীনের গানগুলির সেই পরিচিত আওয়াজ আজ অনেকদিন আগেই। ১৯৯৯ সালে গৌতম চট্টোপাধ্যায় মারা যাওয়ার পরেই ভেঙে গিয়েছিল বাংলার প্রথম ব্যান্ডটির মেরুদণ্ড। এবারে এক এক করে চলে যাচ্ছেন বাকি ঘোড়াগুলিও। বেঙ্গালুরুতে থাকতেন তিনি। একটি নাটকের দল চালাতেন। সেখানেই মারা গেলেন ভোররাতে। ঘুমের মধ্যেই। ছেড়ে গেলেন বাকি ঘোড়াদের। বুলাদা, ভানুদা, আব্রাহামদা, তপেশদা, রাজাদা, হিরণ মিত্র, বাপিদা।
‘সপ্তর্ষি’ নাম রেখেছিলেন প্রথমে। সকলে মিলে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে সংকীর্তন গাইতেন। হাতে থাকত চেলো, গিটার, ডুগডুগি। ১৯৭১ সালে তারপরে ধীরে ধীরে তৈরি হল বাংলার প্রথম ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’। নামটি উঠে এল জীবনানন্দের ‘সাতটি তারার তিমির’ কবিতার পাতা থেকে। মাথায় এল সেই রঞ্জন ঘোষালেরই। কিন্তু ৬৪ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। ছিলেন একাধারে কবি, সুরকার, নাট্যকার। বাংলার মানুষের স্মৃতিতে ও কানে বাঁচিয়ে রাখলেন ‘মহিন’–কে।