ভারত মহাসাগরে ১২০ রণতরি মোতায়েন

নয়াদিল্লি: চিনের বিরুদ্ধে কি ক্রমশ এককাট্টা হচ্ছে এশিয়ার একাধিক দেশ? ঘটনাচক্র কিন্তু সেই দিকেই গড়াচ্ছে। বহুদিন ধরেই এশিয়ার একটা বড় অংশে ক্ষমতা-প্রতিপত্তি বিস্তারের চেষ্টায় রয়েছে চিন। প্রতিবেশী দেশগুলি গোড়ার দিকে বিষয়টায় তেমন গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। এখন চিনের মোকাবিলা করার জন্য শুধু কূটনৈতিক নয় সামরিক প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে ভারত ও তার সহযোগী দেশগুলি।
শুক্রবার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরে ১২০টি-র বেশি রণতরি মোতায়েন করা হয়েছে। এদিন গ্লোবাল ডায়লগ সিকিওরিটি সামিটে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের অধিকাংশ দেশই অর্থনৈতিক প্রয়োজনে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে চাইছে। বিভিন্ন পরিকাঠামোও তৈরি করেছে তারা। নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে প্রায় সমস্ত দেশই একে অপরের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে। পরিস্থিতি বুঝে সেখানকার বিভিন্ন প্রকল্পে সাহায্য করার জন্য ভারত মহাসাগরে ১২০টির বেশি রণতরি মোতায়েন করেছে বিভিন্ন দেশ।
‘কনটেস্টিং দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক ফর গ্লোবাল ডমিনেশন’ শীর্ষক ওই আলোচনায় অংশ নিয়ে চিনের তুমুল সমালোচনা করেন বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির পাশাপাশি চিনেত সামরিক শক্তিও গত কয়েক বছরে আগের থেকে অনেক বেড়েছে। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য চিনের প্রতিপত্তি বৃদ্ধির চেষ্টায় প্রভাবিত হয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে অন্যরাও। তাই ভারত সহ অনেক দেশ বিভিন্ন প্রকল্পে সাহায্য করার জন্য ভারত মহাসাগরে ১২০টির বেশি রণতরি মোতায়েন করেছে। এর ফলেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে ওই এলাকায়।’
প্রসঙ্গত, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর থেকে ভারতের সঙ্গে চিনের কূটনৈতিক দ্বৈরথ আরও বেড়েছে। সেই কারণে ভারত মহাসাগরে রণতরি মোতায়েন করার বিষয়টিকে খুব একটা লঘু করে দেখছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। রণতরি মোতায়েনের ঘটনাটিকে সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি বলেই মনে করছেন তাঁরা।