সরষের তেলের প্যাকেজিং কারখানায় বিধ্বংসী আগুন

কৃষ্ণা দাস, রাজগঞ্জ: বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির পশ্চিম ধনতলা এলাকায়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনও হতাহত না হলেও ক্ষয়ক্ষতি প্রচুর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজগঞ্জ ব্লকের চুনাভাটি পশ্চিম ধনতলা এলাকায় একটি সরষের তেলের প্যাকেজিং কারখানায় আচমকাই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই কাটখানায় সরষের তেল এনে প্যাকেটিং করে তা বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বুধবার ভোর তিনটে নাগাদ কারখানার সিকিউরিটি গার্ড সহ শ্রমিকরা প্রথমে আগুন দেখতে পায়। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে।
আরও পড়ুন:করোনার বলি বাসচালক, ক্ষতিপূরণ, পরিবারের একজনের চাকরির আবেদন বাসমালিক সংগঠনের
প্রাথমিকভাবে তারাই জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কারখানার শ্রমিকরা খবর দেয় কারখানার ক্যাশিয়ারকে। তার বাড়ি শিলিগুড়িতে। ক্যাশিয়ারকে খবর দেয় দমকলে। পাশপাশি এলাকার উপপ্রধানও দমকলে খবর দেন। খবর পেয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ ও দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছাবার আগেই সরষের তেলের সংস্পর্শে আগুন চলে আসতেই আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দমকলের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিটের ফলে আগুল লাগতে পারে। তবে সরষের তেলের প্যাকেজিং কারখানায় অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যবস্থাই দমকলের কর্মীরা দেখতে পাননি বলে দমকলের এক আধিকারিকের অভিযোগ। এমন একটি দাহ্য বস্তুর কারখানায় অগ্নি নির্বাপকের ব্যবস্থা ছাড়াই কি করে এতদিন ধরে কারখানাটি চলছিল তাই নিয়েই হতবাক স্থানীয়রা। কোনও হতাহতের খবর না থাকলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর। তবে আগুন লাগার আসল কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল ও পুলিশ।