শরণানন্দ দাস, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার বিজেপি রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ কাজ নেই, তাই পেটের টানে মুর্শিদাবাদ, মালদহের মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবকরা ভিনরাজ্যে ছুটে গিয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর উদ্যোগ দিদি কেন নিচ্ছেন না? দিদিতো মুসলিম সমাজের হিতৈষী। তাহলে কি তাদের শুধুই ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছেন দিদি? মুসলিম সমাজকে এটা বুঝতে হবে।’ পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারী শাসন ৭৫ এর জরুরী অবস্থার চেয়েও খারাপ।
শুক্রবার বিজেপি রাজ্য দফতরে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ বাংলায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রী, সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার হচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠিত সংবাদ পত্রের সম্পাদককে থানায় ডেকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়েছে। এর আগেও দু-একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিককেও ডেকে ধমক দেওয়া হয়েছিল। এভাবে প্রেসের কোমর ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যম সত্যিটা তুলে ধরলেই আইনের লাঠি মারা হচ্ছে। গণতন্ত্রের চতূর্থ স্তম্ভের উপর এই আঘাত জরুরী অবস্থার কথা মনে করাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আমফান বিধ্বস্ত গোটা বাংলা, পাঁচ লক্ষ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সাহায্য: মুখ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ বিরোধী দলের নেতা নেত্রী, সাংসদ, মন্ত্রীদের বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে, অর্জুন সিং, জয়ন্ত রায়কে বাধা দেওয়া হয়েছে। রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে কোয়ারেন্টাইনের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এদিনই ক্যানিংয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় ত্রাণ বিলি করতে যাওয়ার পথে বাধা পান। আমাদের আটকে দেওয়া হলেও কর্মীরা ত্রাণ বিলি করছেন। সুতরাং আমাদের আটকানোটা পুরোটাই রাজনীতি। ওদের সাংসদ, বিধায়করা যাচ্ছেন, আমরা গেলেই দোষ?
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরানোর কোন ইচ্ছাই নেই দিদির। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ কেন এতোদিন শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানো হয়নি? উত্তরপ্রদেশ পারলো, অন্য রাজ্যগুলো পারলো আর আপনি কেন পারবেন না। আসলে কোন পরিকল্পনা নেই। দিদি শুধু রাজনীতি করেন। পরিযায়ী শ্রমিকরা আসবে, সংক্রমণ বাড়তে পারে। তার জন্য উপযুক্ত কোয়ারেন্টাইন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু আমাদের রাজ্যের শ্রমিকদের ফেরাতেই হবে। দিদির কোন আত্মীয় স্বজন গুজরাট বা মহারাষ্ট্রে থাকলে তাকে ফেরাতে আপত্তি করতেন!’