শরণানন্দ দাস, কলকাতা: আমফানের পর পাঁচদিন কেটে গিয়েছে। এখনও শহরের বহু রাস্তা গাছ পড়ে দুর্গম হয়ে রয়েছে। পানীয় জল, বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। শোচনীয় পরিস্থিতিতে মানুষ সোমবারও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সল্টলেকে নিজের এলাকায় রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ কাটেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর কটাক্ষ ‘ দিদি ভোট কেনার জন্য টাকা দেন, সামাজিক কাজের জন্য নয়।’এদিন তিনি বলেন, ‘ দিদি ২৬ হাজার ক্লাবকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। প্রত্যেক ক্লাবের অন্তত ২০ জন সদস্য ও যদি গাছ কাটতো তাহলে দুদিনে রাজ্যের সব গাছ কাটা হয়ে যেত। আসলে দিদি টাকাটা দেন ভোট কেনার জন্য সামাজিক কাজের জন্য নয়।’
এরপরই বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘ দিদি রাজনীতি আর টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। সবসময় টাকার দাবি করে চলেছেন। উনি ১ লক্ষ কোটি টাকার গল্প শোনাচ্ছেন। বলছেন আম্ফানে নাকি ১০ লক্ষ বাড়ি ভেঙেছে, বুলবুলের সময় ৫ লক্ষ বাড়ি ভাঙার গল্প শুনিয়েছিলেন। এদিকে বলছেন উনি কোথাও যোগাযোগ করতে পারছেন না। তাহলে উনি এই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাচ্ছেন কোথা থেকে? হাত গুনে?’ গত পাঁচ দিন ধরে সল্টলেকের বিভিন্ন রাস্তা, গলি গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। সোমবার সাতসকালেই বেরিয়ে পড়ে সল্টলেকের সিকে, একে,এজে, এসি ব্লকে রাস্তায় গলিতে যেখানেই গাছ পড়ে থাকতে দেখেছেন কুড়ুল, দা নিয়ে কাটতে শুরু করেন। এই কাজে দলীয় কর্মীদেরও ডেকে নেন।
আরও পড়ুন: আর কত ধৈর্য ধরব? CESC-কে কড়া হুঁশিয়ারি ফিরহাদের
মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘ গত তিনদিন ধরেই সল্টলেকে আমার পাড়ার গাছ কাটা শুরু করেছি। এখানে বয়স্ক মানুষেরা বেশি থাকেন। লোকজন নেই, তাঁদের পক্ষে এসব করা সম্ভব নয়। তাই নিজেই শুরু করলাম, দলের কর্মীদেরও ডেকে নিলাম।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ পৌরনিগমের কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। তাঁরা জলের ব্যবস্থা করতে পারছেন না, বিদ্যুতের ব্যবস্থা ঠিক করতে পারছেন না। ধরে নিন আমরা সরকারকে সাহায্য করতে এসেছি। পাড়ার লোক হিসাবে এটা আমাদের দায়িত্ব। বাকিটা সরকার করুক।’