‘অন্য পুজো’তে মাতল রামনগরের একতীর্থ

ভাস্করব্রত পতি, তমলুক : তিন বছর আগে পাঁচ সহপাঠী তপন জানা, চিত্তরঞ্জন দাস, সুব্রত ঘণ্টী, বিষ্ণুপদ ভূঁইয়া ও নন্দগোপাল পাত্ররা তাঁদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাগুরুদের পয়লা বৈশাখ সম্মান জানানোর প্রয়াস ছিল ‘একতীর্থ’-এর প্রথম উদ্যোগ। সেই শুরু।
এবার কোরোনাকালে কাজ হারানো চরম আর্থিক সঙ্কটে ভোগা মানুষদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়াল ‘একতীর্থ’। অন্যান্য বছরের মতো অন্যের কথা ভেবেই এ বার ‘অন্য পুজো’ পালনের উদ্যোগী হল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ২ ব্লকের সটিলাপুরের এই ‘একতীর্থ’। ভগিনী নিবেদিতার সেবাকাজে উদ্বুদ্ধ ‘একতীর্থ’ পূজোতে ৮০ জন মহিলা সহ ১০০ জনের হাতে তুলে দিল শাড়ি, ধুতি, মাস্ক এবং ১০০ টাকা।
‘একতীর্থ’র পক্ষে নন্দগোপাল পাত্র জানান, “আমরা অন্নপূর্ণা নই, আমরা সাধ্যমতো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই ‘নিউ নর্মাল’- এর পুজোয় অন্যের পাশে দাঁড়ানোর সামাজিক দায়িত্ব পালন করলাম”।
নন্দগোপাল বাবুদের কাজ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরবর্তী সময়ে গ্রামেরই সিনিয়র দাদা বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক শান্তিপদ ভূঁইয়া পাশে দাঁড়ানোয় লকডাউনের সময় দু’বার খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছিল গ্রামেরই ১৭৫ টি পরিবারের হাতে। পরে ‘একতীর্থ’র উদ্যোগে সামিল হয় শিক্ষক প্রকৃতিরঞ্জন ভক্তা, নীলকমল জানা, গৌরগোপাল জানা প্রমুখ।
আসলে এ বছরটা আর পাঁচটা বছরের তুলনায় আলাদা। এই অতিমারির সময় কত জনের যে কিছু নেই! এ তো কেবল অতিমারির অকাল নয়, না-থাকারও আকাল। এবারের পুজোটাও আলাদা। কারণ নভেল কোরোনা ভাইরাস। তার সংক্রমণে গোটা দুনিয়া পদানত। ব্যতিক্রম নয় এ রাজ্যও।