গোপালনগর হাইস্কুল থেকে কেশাপাট পীরতলা পর্যন্ত বেহাল ভগ্ন রাস্তা, প্রশ্নের মুখে উন্নয়ন

বাবলু ব্যানার্জি, কোলাঘাট: রাজ্যের উন্নয়ন অব্যাহত। এই কথাটার সঙ্গে বোধহয় সাযুজ্য নয় কোলাঘাট ব্লকের গোপালনগর হাই স্কুল থেকে কেশাপাট পীরতলা পর্যন্ত বেহাল ভগ্ন রাস্তাটির। সামনে বর্ষা,মাঝেমধ্যে বৃষ্টি চলছে, পথচলতি মানুষ থেকে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস যাওয়ার জন্য রাস্তাটি ব্যবহার করে ওই এলাকার মানুষজন ,এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাস্তাটি নিলেও যাতায়াতের জন্য অযোগ্য হয়ে যাওয়ার ক্ষোভের শেষ থাকছে না।
এলাকার মানুষজন-এর বক্তব্য, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বর্তমান সরকার কাজ করলেও এই রাস্তাটির ভগ্নদশা কেন নজরে নেই এই প্রশ্ন আসতে শুরু করেছে ,ওই সব প্রত্যন্ত গ্রাম গুলো থেকে। প্রশ্ন বাম আমলে না হয় কাজ হয়নি, কিন্তু বর্তমান এই সরকার তো মানুষের জন্য কাজ করে, মানুষের যাতায়াতের জন্য কেন থমকে আছে এই রাস্তার কাজ এই প্রশ্ন ও লুকোচুরি খাচ্ছে ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে। কাঁটামনি , রামনগর, কৃষ্ণনগর, গুরচাকলি গোপালনগর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষজন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। ব্যবসায়ী থেকে নিত্য যারা দিন আনে দিন খায় তারাও ব্যবহার করে এই রাস্তাটি। এছাড়া পীতপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতলে যাতায়াত করার জন্য এই রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রাস্তার গুরুত্ব যখন দিন দিন বাড়ছে, তখন কেন ঢালাই রাস্তা করা যাবে না তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত এলাকার মানুষজন। এলাকার মানুষ জনদের কথা সিদ্ধা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে কী ভূমিকা নেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের তৃণমূল প্রধান অরুন কুমার হাজরা কে ধরা হলে তিনি বলেন রাস্তার জন্য দুটি টেন্ডার পাস করা হয়েছে, আরো চারটি টেন্ডার পাস হয়ে যাবে। তবে যে দুটি টেন্ডার পাস করা হয়েছে তার কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। রাস্তাটি কে পুরোপুরি পাকা রাস্তায় রূপ দেয়ার জন্য এই গ্রাম পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে।
রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ জানাতে গিয়ে তপন মিশ্র, বিপ্লব দিন্ডা ,শীব প্রসাদ সাউ বলেন রাস্তার কাজ শুরু হলে ভালো। তবে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ এত উন্নয়ন হচ্ছে এই রাস্তার বেলার উন্নয়ন কেন থমকে। কোলাঘাট মন্ডলের বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু দাস বলেন এই রাস্তাটি নিয়ে কোলাঘাট ব্লক প্রশাসনের কাছে যাওয়া হয়েছিল বিষয়টি দেখা হবে বলে জানিয়েছিলেন। বর্তমান পূর্ব পাঁশকুড়া বিধানসভার বাম বিধায়ক শেখ ইব্রাহিম আলী কে ধরা হলে তিনি বলেন এই বিধানসভায় একটার পর একটা কাজ হচ্ছে, ২১ সালের নির্বাচনের আগে যা কাজ বাকি আছে তা পূরণ হবে।