
শরণানন্দ দাস, কলকাতা: আনলক ফোরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া আর কোন রাজ্যেই সম্পূর্ণ লকডাউন ডাউন করা যাবে না। কিন্তু সোমবার নবান্ন নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৭, ১১, ১২ সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ লকডাউন হবে। কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া কিভাবে লকডাউন জারি থাকবে? বিভিন্ন মহলে উঠছে প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া ‘পরীক্ষা বানচাল করার জন্য দিদি এটা করেছেন, নোংরা রাজনীতি।’ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ‘ কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করা সংবিধান বিরোধী।’
ঘটনা হলো কেন্দ্রের তরফে আনলক ৪ এর নির্দেশিকা পাঠানোর আগেই রাজ্য সরকার সেপ্টেম্বর মাসের লকডাউনের দিন স্থির করেছিল। তবে মনে করা হয়েছিল রাজ্য হয়তো এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করবে। কিন্তু তা না করে সোমবার নবান্নের এই বিঞ্জপ্তি নতুন করে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত তৈরি করবে বলে মনে করছে তথ্যাভিঞ্জ মহল।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ” যেভাবে কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করা হলো, তা নজিরবিহীন। নিশ্চিত ভাবেই কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে। তবে যেহেতু পরীক্ষা রয়েছে, আর সেটা বানচাল করাই ওঁর উদ্দেশ্য তাই ওই দিন লকডাউন বহাল রাখলেন। এটা নিকৃষ্ট রাজনীতি।’
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু-মতুয়া ও এসসি ভোট মূল ফ্যাক্টর, উত্তর সোনারপুর কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ”কেন্দ্রীয় নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য সরকার যেভাবে ৭,১১ ও ১২ তারিখ লকডাউন বহাল রাখলো তা সংবিধান বিরোধী ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পক্ষে বিপজ্জনক প্রবণতা বলে আমি মনে করছি। কেন্দ্রীয় সরকার যখন জিএসটির ক্ষেত্রে টাকা কম দেয় তখন রাজ্য সরকার গলা ফাটাতে শুরু করে, আর কেন্দ্রীয় সরকারের কোন নির্দেশ এই সরকার মানবে না। সেই কারণে আমি মনে করি এই সরকার টাকা নেওয়ার সরকার। সংবিধান, সংসদের প্রতি এই সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নেই। আমি মনে করি এই প্রকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’