শরণানন্দ দাস, কলকাতা: সর্বদলীয় বৈঠকের পর চব্বিশ ঘণ্টাও পার হয়নি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ লাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে মেদিনীপুরে প্রাতঃভ্রমণ সেরে তিনি বলেন, ‘ মিডিয়াকে খুশি করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দলবাজি বন্ধ করার কথা বলেছেন। দলবাজি বন্ধ করতে হলে সরকারকে কাজ করতে হবে।’ প্রসঙ্গত সর্বদলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,’দলবাজি প্রশ্রয় দেওয়ার জায়গা নেই। যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা দরখাস্ত করতেই পারেন। ২১০০ কেস এসেছে আমার কাছে, সেগুলো দেখতে বলেছি।’
বিজেপি রাজ্য সভাপতি নবান্নের বৈঠকে আমফান, করোনা-সহ একাধিক ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। এদিনও আমফানের দুর্নীতি নিয়ে সরব হন । তাঁর অভিযোগ আমফানে এমন লোকজন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে এবং বাড়ি ভাঙেও নি। এঁদের সিংহভাগই তৃণমূলের সমর্থক, নয়তো আত্মীয়স্বজন। এদিন বিজেপির নিহত যুবকর্মী পবন জানার শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘ আইন কি শুধু বিজেপির জন্য?’
আরও পড়ুন: বিদেশ যেতে দুগ্গাকে নিতে হচ্ছে জীবাণু নাশক শংসাপত্র
সম্প্রতি তৃণমূল নেতা সৌমেন মহাপাত্র বিজেপিকে সন্ত্রাসবাদী দল বলে কটাক্ষ করেন। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি পাল্টা বলেন, ‘বিজেপি যদি সন্ত্রাসবাদীদের দল হতো তাহলে এতোদিনে তাঁর বাড়িঘর ভেঙেছে ফেলতো। তবে প্রয়োজন পড়লে বিজেপি সেই রাস্তায় হাঁটতে পিছপা হবে না।’ এই দিনটিতে জারি হয়েছিল জরুরী অবস্থা। টুইট করে দিলীপ ঘোষ লেখেন, ‘ ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক কালো দিন, ১৯৭৫ সালে আজকের দিনে ইন্দিরা গান্ধী জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন। আজকের দিনের কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস তারই উত্তরসূরী, যারা কখনো গণতন্ত্রকে সম্মান করে না।’