শরণানন্দ দাস, কলকাতা: লকডাউনের সকালেও রাজনৈতিক হিংসার শিকার হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রাধারানী নস্কর। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কলকাতার এস এসকেএম এ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন এই হিংসার রাজনীতির শেষ কোথায়? হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনায় ধিক্কার জানিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক অধিকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুর থানায় আমাদের মহিলা নেত্রীর উপর আক্রমণ করা হয়। তাঁর স্বামী আমাদের বুথ সভাপতি। তিনিই টার্গেট ছিলেন, বাড়ি না থাকায় তাঁর স্ত্রী রাধারানী নস্করকে মারধর করে মাথায় গুলি করা হয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘ গত ৪ তারিখ রাজ্যজুড়ে ধর্না, বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর থেকে নাগাড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের হামলা চলছে। ডায়মণ্ডহারবারে তৃণমূলের তথাকথিত নেতা জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে জায়গায় জায়গায় বোমা, বন্দুক নিয়ে হামলা চলছে। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে শাজাহানের নেতৃত্বে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙা হয়। খড়দায় আমাদের কর্মীকে গুলি করা হয়, কালনায় আমাদের কর্মীকে খুন করা হয়। প্রতিদিন এইধরনের দুঃসংবাদ শুনতে হচ্ছে। রাজনৈতিক হিংসার এমন ঘটনা রোজ ঘটছে। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙা হচ্ছে, নয়তো প্রাণে মারা হচ্ছে। পুলিশ নির্বিকার আছে, তাদের সামনেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।’
আরও পড়ুন: লকডাউন উত্তর পর্বে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে
তিনি রাজ্য সরকারের প্রতি তোপ দেখে বলেন, ‘আমার মনে হয় রাজ্য সরকার হিংসাকে নিজেদের নীতি হিসাবে নিয়েছে। বিরোধীদের উপর লাগাতার আক্রমণ করে তাদের শেষ করে দেওয়াই লক্ষ্য। আমি জানি না এই হিংসার শেষ কোথায়?’
হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের মহিলা মোর্চার নেত্রী রাধারানী নস্করকে গুলি করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। উনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে নতুন একটা ধারা শুরু হয়েছে। মহিলাদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই।’
বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এদিন হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ নেত্রীকে দেখতে আসেন । তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে গেলো। কোন ভয় নেই। ভাবুন তাহলে কোন রাজত্বে রয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই।’