গণপতিকে পুজো পেতে কোর্টে যেতে হচ্ছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক, সব্যসাচীর পুজোয় বাধা নিয়ে তোপ দিলীপ ঘোষের

শরণানন্দ দাস, কলকাতা: রবিবার সব্যসাচী দত্তের মৈত্রী সংঘের গণেশ পুজোয় আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রশাসন এই পুজোর অনুমতি না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে পুজো হয়। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ গণপতিকে পুজো পেতে কোর্টে যেতে হচ্ছে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’ উল্লেখ্য মৈত্রী সংঘের পুজো সব্যসাচী দত্তের পুজো বলে পরিচিত। এ বছর শুরুতে বিধাননগর পুরনিগম ও পুলিশের অনুমতি মেলেনি। পুজোর উদ্যোক্তারা এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শেষমেষ কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে পুজোর অনুমতি মেলে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যেভাবে এই পুজো আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সবরকম করোনা বিধি মেনে পুজো হচ্ছে। পুজোপাট ভারতবর্ষে হবে নাতো কোথায় হবে? সেটাকে রাজনীতির মধ্যে টেনে আনাটা ঠিক নয়। গণপতিকে কোর্টে যেতে হচ্ছে। রামচন্দ্র কয়েকশো বছর কোর্টে ছিলেন। এখন বাড়ি ফেরত পেয়েছেন। গণেশকেও লড়াই করে পুজো নিতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্য আমাদের।’ তিনি বলেন, ‘ আমার মনে হয় গণপতি পুজোর পর থেকেই বাংলাসহ সারা দেশে পরিবর্তন হবে। আমরাতো কেস আর জেল ছাড়া কিছু পাই না। ঠাকুরের কাছে তাই প্রার্থনা করলাম একটা পরিবর্তন করে দাও। বাংলার মানুষ ত্রাহি ত্রাহি রব করছে। এই পরিস্থিতি থেকে যেন মুক্তি পায়।’ এদিন তিনি পুষ্পাঞ্জলি দেন, আরতি করেন, লাড্ডু প্রসাদও নেন।
এর পাশাপাশি তৃণমূলের যুবকদের যোগদান কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এখন যুবসমাজ রাজনীতি বিমুখ। কারণ সামনে কোন নীতি আদর্শ নেই। শুধু কাটমানি আর সিন্ডিকেটরাজ। পশ্চিমবঙ্গে চাকরির কোনও আশা নেই। চাকরি পেতে এখন পশ্চিম ভারতের যেতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে। এই হতাশা কাটিয়ে নতুন বাংলা তৈরি করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লড়াই করছি।’ এদিন সকালে ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণের পর সংবাদ মাধমকে তিনি বলেন, ‘ সকালের চা চক্র জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, আর তাতেই ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের দলীয় কর্মীদের উপর তাই হামলা, অত্যাচার লেগেই রয়েছে। বাংলার মানুষ সন্ত্রাসের এই পরিবেশ থেকে মুক্তি চায়।’