সুন্দরবনে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের আত্মনির্ভর করতে রঙিন মাছ-সহ চাষের সামগ্রী বিতরণ

অনুপ কুমার বিশ্বাস, বাসন্তী: সুন্দরবনের পিছিয়ে পড়া তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য হাতে কলমে পরিবারের মহিলাদের রঙিন মাছ চাষে উৎসাহ দিতে এগিয়ে এলো কেন্দ্রীয় অন্তস্থলীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থা। রবিবার বাসন্তী থানার কুলতুলি মিলনতীর্থের ট্রেনিং হলে এলাকার ৫৫টি পরিবারকে রঙিন মাছ চাষের সমস্ত সামগ্রী প্রদান করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংস্থার মাধ্যমে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অন্তস্থলীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর ডঃ বসন্ত কুমার দাস, সংস্থার চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ডঃ সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন সদস্য লোকমান মোল্লা প্রমুখ।
সংস্থার ডিরেক্টর ডঃ বসন্ত কুমার দাস বলেন, “সুন্দরবনের এই এলাকার মানুষজন যথেষ্ট পিছিয়ে পড়া। এদের আর্থ সামাজিক মান উন্নয়নের জন্য আগেই আমরা দফতরের তরফে প্রায় আড়াইশোটি পরিবারকে মাছের পোনা দিয়েছি। এবার আরও বেশ কিছু পরিবারকে রঙিন মাছ চাষের জন্য যাবতীয় সরঞ্জাম দিলাম। তাঁদেরকে ট্রেনিং ও দেওয়া হয়েছে, কিভাবে এই মাছ চাষ করবেন, কোথায় বিক্রি করবেন।” এরফলে এই সমস্ত পরিবার অনেক বেশি আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হবে বলেই মনে করছেন সংস্থার আধিকারিকরা।
লোকমান মোল্লা বলেন, “পরীক্ষামূলক ভাবে এদিন ৫৫ টি পরিবারের মহিলাদের এই রঙিন মাছ চাষের সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁরা সংসার সামলানোর পাশাপাশি এই মাছ চাষ করতে পারেন। এরা সফল হলে এই এলাকার অন্যান্যদেরকেও এই প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।”
কেন্দ্র সরকারি সংস্থার এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মহিলারা। গ্রামের কল্পনা সরদার, কনিকা নস্কর ও সম্পা সরদাররা বলেন, “আমরা সমাজের পিছিয়ে পড়া পরিবার। আর্থিক স্বচ্ছলতা সেভাবে নেই বললেই চলে। করোনার আবহাওয়া, তারপরে আমফানের ফলে আর্থিক দিক দিয়ে আরও পিছিয়ে পড়েছি। রঙিন মাছ চাষ করার জন্য মাছ ও মাছের সামগ্রী দিয়ে তারা আর্থিকভাবে অনেকটাই উন্নত করতে পারবে বলে জানান।