যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: আরজিকর হাসপাতালে প্রায় ১৫০জন জুনিয়র চিকিৎসক কর্মবিরতি শুরু করলেন। তার জেরে চিকিৎসা পরিষেবা থমকে গেল এই হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি তারা স্বাস্থ্য ভবনে বিষয়টি জানিয়েছেন। ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, চিকিত্সক, নার্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এন ৯৫ মাস্ক থেকে পিপিই মিলছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও কম হয়নি রাজ্যে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের সামগ্রী দিয়ে কোনওরকম সাহায্য করেনি রাজ্যকে। নবান্নের উদ্যোগেই তা তৈরি করা হচ্ছে। তারপর প্রতিদিনের প্রেস কনফারেন্সে রাজ্য সরকার হিসেব দেওয়া শুরু করে কত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস অর্ডার দেওয়া হয়েছে, কতগুলি হাতে এসে পৌঁছেছে এবং কত বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজমের শরিফ থেকে তীর্থযাত্রীদের ফেরাতে পারলে হরিদ্বারের থেকে কেন ফিরতে পারবেন না: রাহুল সিনহা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিকবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘এগুলো কোনওটাই রেডিমেড পাওয়া যায় না। সবটাই তৈরি করাতে হচ্ছে।’ আরজি করের জুনিয়র চিকিত্সকদের কাজ বন্ধ ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের। কারণ এই হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চিকিত্সা হচ্ছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো হাসপাতালকে কোভিড চিকিত্সার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। তার ফলে অন্য রোগীদের একটা বড় চাপ রয়েছে আরজি করের উপর। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে ক্ষুব্ধ চিকিত্সকদের কাজে ফেরানো যায় সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।