আমেরিকার বেকারত্ব দূর করতে H1-B ভিসা বাতিল করলেন ট্রাম্প
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকাবাসীর বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্যে সাময়িক ভাবে এইচ ওয়ান বি (H-1B)-সহ একাধিক ওয়ার্কিং ভিসা বাতিল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।এই পদ্ধতি মেনে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করল H-1B, H-4, H-2B ভিসা। একই সঙ্গে চলতি বছরের শেষপর্যন্ত বাতিল হচ্ছে L ও J ভিসা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের জেরে আমেরিকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ৪৬ মিলিয়ন মার্কিনি। এমন অবস্থায় ভিসায় রাশ টানার সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ট্রাম্প কিছুটা এগিয়ে থাকবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মঙ্গলবার তাঁদের আশঙ্কা সত্যি করে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করল, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমেরিকা কোনও বিদেশিকে H-1B, H-2B এবং L ভিসা দেবে না। নতুন নিয়ম কার্যকর হবে ২৪ জুন থেকেই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন,”বর্তমানে আমেরিকার কাজের বাজারে ভয়াবহ সংকটের পরিস্থিতি চলছে। এর মধ্যে আমাদের আমেরিকানদের স্বার্থের কথা ভাবতেই হবে। দেশে বিদেশি কর্মীদের আগমনের ফলে আমেরিকার কাজের বাজার মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।” যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন সেদেশের শিল্পপতিরা। এমনকি, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই পর্যন্ত ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
আর পড়ুন: জয় হল শান্তির? আর নয় কোনও সংঘর্ষ, একমত চিন-ভারত!
ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে দেওয়া বিস্তারিত নির্দেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সেই সব ওয়র্ক পারমিট অবিলম্বে বাতিল করে দেওয়ার জন্যে যাঁদের চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য, যাঁরা সেদেশে কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অথবা যাঁদের ইতোমধ্যে ডিপোর্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর থেকেই প্রায় ৫০ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ বেরিয়ে আসবে মার্কিনিদের জন্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০২০ সালের বাকি সময়ের মধ্যেই আমেরিকায় ৫ লাখ ২৫ হাজার কর্মখালি হবে।ভিসা স্থগিতের খবরে অসন্তোষ প্রকাশ করল গুগল, অ্যাপল, ফেসবুক ও অ্যামাজনের মতো সিলিকন ভ্যালির নামী কোম্পানিগুলি। আমেরিকায় সংকটময় অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।