নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ ও ভোপাল : মরার উপর খাঁড়ার ঘা! করোনা আর লকডাউনের জেরে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। শিল্প থেকে কৃষি সব ক্ষেত্রই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে শেষ দু’মাসে। তার মধ্যেই দেশীয় অর্থনৈতিক কাঠামোকে ধরে রাখার জন্য একমাত্র ভরসা যোগাচ্ছিল ভারতের কৃষি ব্যবস্থা। এবার সেখানেও হানা দিল পঙ্গপাল!
এখনও পর্যন্ত ভারতের দুই রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে হানা দেওয়া শুরু করেছে পঙ্গপালের দল। সেই ঝাঁক প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। আর তাতেই প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার ফসল ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এক মাস আগেই পঙ্গপালের হানা নিয়ে সতর্কতবার্তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো একাধিক রাজ্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও পুরোপুরি যে এই হানা রোখা সম্ভব নয় তা স্পষ্ট।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বাঙ্গরা মগরপুরে রয়েছে পঙ্গপালের একটি দল। আর তাই সতর্কতা হিসাবে ঝাঁসি জেলা প্রশাসন দমকল বাহিনীকে পঙ্গপালের দল ধেয়ে আসতে দেখলেই রাসায়নিক স্প্রে করতে নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঝাঁসির জেলাশাসক অন্দ্র ভামসি বলেন, ‘সবুজ ঘাস ও সবুজ রঙের ফসল দেখলেই পঙ্গপাল আক্রমণ করছে। তাই গ্রামের মানুষদের এই পঙ্গপালের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দেখতে পেলেই দ্রুত কন্ট্রোল রুমে খবর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
জানা গিয়েছে, রাজস্থানের কোটা থেকে একটি দল উত্তরপ্রদেশ আসছে পঙ্গপাল মোকাবিলায় সহায়তা করতে। অন্যদিকে পঙ্গপালের আর একটি দল হানা দিয়েছে মধ্যপ্রদেশেও। মধ্যপ্রদেশের নিমাচ জেলা থেকে ঢুকে এই দল এগিয়ে আসছে ভোপালের দিকে। এই হানা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কৃষকদের অ্যাডভাইসরি জারি করে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পঙ্গপালের দল দেখলেই ধাতব বস্তুর তীব্র শব্দ করে তা তাড়িয়ে দিতে হবে। সন্ধ্যার পর পঙ্গপালের দল হানা দিতে পারে এই আতঙ্কে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত পাহাড়া দিচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা।