লকডাউনে প্রবল সমস্যায় জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ধাবা মালিকরা
হিতৈষী দেবনাথ, আলিপুরদুয়ারঃ গোটা ভারতবর্ষে জাতীয় সড়কের সৌন্দর্য্য বিভিন্ন ফুল বাগান, অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম সহ বিভিন্ন কিছু দিয়ে করা হয়েছে, এবং সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কাজও চলছে। কিন্তু এই সৌন্দর্যের মাঝেও জাতীয় সড়কের পাশে জ্বলজ্বলে ধাবা গুলো আরও ফুটফুটে করে তোলে জাতীয় সড়ককে। শুধুমাত্র সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজেই থেমে থাকেনা ধাবা গুলো।
এই ধাবাগুলিতে খেয়েই গাড়ি চালকরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পন্যগুলি নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেন। শুধুমাত্র খাবারের সহযোগিতাই নয়, গাড়ি চালকদের দিন, রাত এক করে কাজ করার ফাঁকে যখন চোখে নিদ্রা নামক অদৃশ্য দানব আক্রমণ করে, সেইসময় এই ধাবাগুলিতেই গিয়ে চোখে জল দিয়ে, চা খেয়ে দূর্ঘটনা থেকেও রক্ষা পান চালকরা। খোলসা করে বলতে গেলে ধাবাগুলি প্রতিনিয়ত চালকদের দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করে সমাজসেবাই করে যায় নিঃশব্দে।
সবসময়ই কোনও গাড়ি চালক এসে মালিককে (শেঠজি) অথবা ধাবায় কর্মরত কর্মীকে( ভাইয়া) ডেকে বলেন, “ভাইয়া খানা মে কিয়া হে”। এটাই প্রত্যেকটি ধাবার পরিচিত রুপ। কিন্তু অদৃশ্য করোনা ভাইরাস গোটা ভারত বর্ষের সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের ধাবা গুলির পুরো চিত্রনাট্যই পাল্টে দিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের প্রত্যেকটি ধাবাই এই মূহুর্তে লকডাউনের দরুণ পুরোপুরি বন্ধ। যার জেরে সমস্যায় গোটা জেলার ছোট, বড় মিলিয়ে প্রচুর পরিমাণে ধাবা মালিকরা এবং ধাবায় কর্মরত কর্মীরা।
আলিপুরদুয়ার জেলার ৩১ সি জাতীয় সড়কের পারোকাটা এলাকার ধাবা মালিক অমর দাস বলেন, এই মূহুর্তে লকডাউনের ফলে আমার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি আমার ধাবার ৭ জন মিস্ত্রি, কর্মচারী সেইসঙ্গে নৈশপ্রহরীরা আমরা প্রত্যেকেই কোনও দিন খাবারের সমস্যায় ভুগিনি। কিন্তু বতর্মানে সবাই সরকারি রেশন সামগ্রী দিয়ে বেঁচে রয়েছি। জানিনা পরিস্থিতি কবে কিভাবে স্বাভাবিক হবে। অমর বাবুর মতো একই অবস্থা প্রত্যেকটি ধাবার। “করোনা” ভাইরাস সহজ ভাইরাস নয় এই কথাটা সারা বিশ্বের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের ধাবাগুলিও হারেহারে টের পাচ্ছে!