নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চেহারা নিল হুগলির ডানকুনি-দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে চত্ত্বর

তাপস মণ্ডল, হুগলি: বিজেপির যুবমোর্চার ডাকে নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রহয়ে উঠল হুগলির ডানকুনি দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে চত্ত্বর। বৃহস্পতিবার হুগলি সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা থেকে বিজেপির নেতা কর্মীরা সকাল সকাল নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে কয়েশো গাড়ি নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু এদিন সকাল থেকেই হুগলির ডানকুনি এলাকায় চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েত করা হয়। এদিন হুগলির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন রাস্তায় পুলিশ বিজেপি কর্মীদের মিছিল আটকে দেন। কোথায় মিছিল ঘুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপর বেলার দিকে বিজেপির কয়েকশো গাড়ি সহ নেতা কর্মীরা ডানকুনি দুর্গাপুর হাইওয়েতে হাজির হন। সেখানে পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে প্রচুর পুলিশ, র্যাফ, জলকামান, কাদানে গ্যাসের সেল মজুত রাখা হয়েছিল। এদিন কোলকাতার উদ্যেশে বিজেপি কর্মীরা যেতে চাইলেই পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সেই সময়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। এরপর বিজেপি কর্মীরা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ শুরু করেন। এই ঘটনায় পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করেন বলে অভিযোগ। মুহুর্তের মধ্যেই ডানকুনি চত্তর রণক্ষেত্র চেহারা নেয়। সেই সময়ে পুলিশ গাড়িতে থাকা বিজেপির মহিলা ও পুরুষ কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধরক মারধোর করেন বলে অভিযোগ।
পুলিশের লাঠির আঘাতে বিজেপির বহু কর্মী আহত হন বলে অভিযোগ। সেই সময়ে পুলিশ বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বোসকেও বেধরক লাঠিচার্জ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই গোটা ঘটনার জেরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বোস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে ভয় পেয়েছেন।
তাই পুলিশ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের রোখার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের প্রায় একশোর বেশি নেতা কর্মী পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হয়েছে। ২১ সালে সরকার বদল হবে। তখন হিসেব করে আমরা এর বদলাও নেব। যদিও চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ওরা রাস্তা ব্লক করে পুলিশকে আক্রমন করেছে। তাই লাঠিচার্জ হয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। ৬৭ জনকে আমরা আটক করেছিলাম। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।